পাতা:মীরকাসিম - অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়.pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ እsbዎ भैद्र कानिभ আশ্রয়ে লক্ষ্মেী নগরে বাস করিতেন। সুজা-উদ্দৌলাই সৰ্বেসৰ্বা হইয়া উঠিয়াছিলেন। স্বযং বাদশাহ র্যাহার কৃপা ভিখারী হইয়া আতিথ্য স্বীকার করিয়াছেন, তাহার পদগৌরব সর্বত্রই জয়যুক্ত হইয়া উঠিয়াছিল। রোহিলা বীরগণ বাদশাহের পক্ষ সমর্থনা করিতে প্ৰতিশ্রুত ছিলেন ; সুজা-উদ্দৌলাও বাদশাহকে আশ্রয়দান করিয়াছিলেন। কিন্তু বুন্দোলখণ্ডের রাজা কাহারও * অধীনতা স্বীকার করিতে সম্মত হন নাই। তঁহাকে দমন করিতে না পারিলে, বাদশাহের সিংহাসন লাভের আশা ছিল না। সুজা-উদ্দৌলার প্রধান মন্ত্রী বেণী বাহাদুরের প্রতি বুন্দোলখণ্ডের বিদ্রোহ দমনের ভার সমৰ্পিত হইয়াছিল। এই সময়ে মীর কাসিম সসৈন্যে এলাহাবাদে উপনীত হইয়া, মিত্ৰ-সন্দর্শনের আশায় যথাযোগ্য আয়োজন করিতে প্ৰবৃত্ত হইলেন । সুজা-উদ্দৌলা এলাহাবাদে উপনীত হইয়া মীর কাসিমের শিবিরে পদাপণ করিবার অভিপ্ৰায় জ্ঞাপন করিবামাত্ৰ, অভ্যর্থনার আড়ম্বর প্রবল হইয়া উঠিল। বিচিত্র কারুকাৰ্যখচিত মহার্ঘ। পটমণ্ডপে সুজা-উদ্দৌলার অভ্যর্থনার জন্য সিংহাসন সংস্থাপিত হইল ; সিংহাসন-পাশ্বে মীর কাসিমের পাত্ৰমিত্ৰগণ সমুচিত সমারোহে সজ্জীভূত হইয়া উজীর সাহেবের শুভাগমনের অপেক্ষা করিতে লাগিলেন । পটমণ্ডপের দ্বারদেশ হইতে বহুদূর পর্য্যন্ত মীর কাসিমের সুশিক্ষিত সৈনিকগণ উভয় পার্শ্বে দণ্ডায়মান হইয়া, বীরোচিত পরিচ্ছদচ্ছিটায় আগমন-পথ উজ্জল করিয়া তুলিল। সেই পথে সেনাবৃন্দের জয়ধ্বনি শ্রবণ করিতে করিতে, দশ সহস্ৰ অশ্বারোহী সেনার অশ্বশ্রেণীর খরখুরোখিত ধূলিপটলে দিগণ্ডল সমাচ্ছন্ন করিয়া মহাবীর সুজা-উদ্দৌলা মীর কাসিমের পটমণ্ডপে উপনীত হইলেন। তঁহাকে সিংহাসনে উপবিষ্ট করাইয়া, মীর কাসিম বহুমূল্য উপঢৌকন দ্রব্য লইয়া তাহার সম্মুখীন হইলেন। উভয় পক্ষে শিষ্টাচার প্রদর্শনের ত্রুটি হইল না। বাঙ্গালা-বিহার-উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন মুসলমান-নবাবের