VfL ‘কেন, কি করেছিল মেয়েটা ? কৌতুহলের বশেই প্রভা কথাটা জিজ্ঞাসা করিল, অনুযোগের জন্য নয়। কিন্তু প্রশ্ন শুনিয়া ত্রিষ্টপ যেন ক্ষেপিয়া গেল । “অত কৈফিয়তে তোমার দরকার ? খুলী হয়েছে—মেরেছি।” প্রভা খানিকক্ষণ অবাক হইয়া ভাইয়ের মুখের দিকে চাহিয়া থাকিয়া বাহিরের ঘরের দিকে চলিয়া গেল। ত্রিষ্টপ তাড়াতাড়ি মুখ ধুইয়া রান্না ঘরে গিয়াই দাবী জানাইল, “আমার চা কই ?” মা খুন্তি দিয়া তরকারী নাড়িতেছিলেন, বলিলেন, “এই যে করে দি। এত বেলা করে উঠলি, চা-ই বা খাবি কখন, চান করে খেতেই বা বসবি কখন। ওঁর সঙ্গে তো যেতে হবে তোকে ?”
- ן וף* “তোর বুঝি দেরীতে আফিস ? তা হোক, ওঁর সঙ্গেই তুই যা বাবা, প্রথম দিনটা । তিনি সব দেখিয়ে শুনিয়ে দিতে পারেন।”
“আমি চাকরী করব না ।” কথা শুনিয়া মা হাতেব খুন্তি উচু করিয়া ছেলের মুখের দিকে চাহিয়া রহিলেন। অনেক দিনের অনেক চেষ্টার পর পাঁচাত্তর টাকা বেতনের এই চাকরীটি জুটিয়াছে, আজ তার ছেলের প্রথম চাকরীতে যোগ দিবার কথা, এখন সে বলিতেছে চাকরী করিবে না। প্রথমটা মা একেবারে থাতমত খাইয়া গেলেন। তারপর মনে করিলেন। তাই কি কখনও হয় ? ছেলে তার সঙ্গে দুষ্টামি করিতেছে। ‘নে, খুব হয়েছে, আর ফাজলামি করে না ! প্রভাকে ডাকতো, তোকে খেতে দিয়ে চা’ট করুক।” গামছা কঁধে ত্রিষ্টুপের বাবা অবিনাশ তেলের খোজে রান্নাঘরে আসিলেন । ব্যস্ত হইয়া বলিলেন, “এখন আর চা খেতে হবে না, চান করে ফ্যাল। সাড়ে আটটা বেজে গেছে, ন’টা পচিশের গাড়ীটা ধরতেই হবে। আজ ফিরিবার সময় মানথিলিট করে ফেলিস কিন্তু, ভুলিস না।”
