পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ চিত্তের স্থৈৰ্য্য সম্পাদন কর।” ইত্যাকার কতই প্ৰবোধ প্ৰয়োগ করা হইল । কিন্তু দুঃখের বিষয়, উথিতফণ ফণী মস্ত্ৰেীষধ গ্ৰাহ করিল না। এ মন্ত্ৰে কোনও ফলোদয় হইল না, সকলই অসাধ্য ও ব্যৰ্থ হইল । প্ৰেমমুগ্ধ মনসুর এ সানা-বাক্যে ভুলিলেন না। প্রবহমান। স্ৰোতস্বতীর দিগন্তগ্ৰাসী প্ৰবল প্ৰবাহ রোধ করে কাহার সাধ্য ? তিনি নরলোক-দুৰ্লভ শান্তি সুধাময় প্ৰেম-পারাবারের গভীর গৰ্ভে নিমজিত হইয়া আছেন, লোকের নিষেধ-বাক্যে সেই চিরসুখের স্থান কি পরিত্যাগ করিতে পারেন ? সুখময় সরল পথ ছাড়িয়া কোন ব্যক্তি কণ্টকাকীৰ্ণ বক্ৰ পথে পদাৰ্পণ করে ? ফলতঃ শত যত্নেও মন্‌সুরের মানসিক গতি আর ফিরিল না—সুহৃদ্ধৰ্গের উপদেশ উপেক্ষিত হইল । তিনি উপহাসব্যঞ্জক উচ্চ হাস্যা করিয়া উঠিলেন এবং গম্ভীরভাবে বলিলেন, “আনামান আহোয়া ওয়ামান আহোয়া আনা, নাহ নো হানে হালালনা বদানা । ফা এজ অব সারতানী অাব সারতা, ওয়া এজা অসারতাহু অাব সাতানা । আমিই তিনি—াহাকে আমি চাহি—অামি ভালবাসি এবং যাহাকে আমি চাহি— আমি ভালবাসি, তিনিই আমি । আমরা দুইটা আত্মা এক দেহে আছি । এই হেতু তুমি যখন আমাকে দেখ, তখন তাহাকে দেখিবে । ফলতঃ আমাকে দেখিলেই তোমাদের তঁাহাকে দেখা হইবে । তোমরা আমাকে জীবনের ৩৩