পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৰ্ষি মন্‌সুর ৩৬ কি একটী ঘটনায় এই গোপনীয় ব্যাপারের আভাসমাত্ৰ মনসুর অবগত হইয়াছিলেন। প্রতিদিন নিশীথসময়ে শয্যাত্যাগ করিয়া ভগিনী একাকিনী কোথায় গমন করেন ? তপস্যার জন্য ? অথবা অন্য কোন কারণে ? এ রহস্য অবগত হইবার নিমিত্ত তাহার অন্তরে অতীব ঔৎসুক্য ও উদ্বেগ জন্মিল । তিনি স্বয়ং নিদ্ৰিত ভাণে জাগরিত থাকিয়া বিশেষ সাবধানতার সহিত তীক্ষ দৃষ্টিতে ভগিনীর গতিবিধি পৰ্য্যবেক্ষণ করিতে লাগিলেন। অতঃপর একদা সুযোগ উপস্থিত হইল । তাহার ভগিনী নিয়মিত সময়ে সকলের অজ্ঞাতসারে যেই গাত্ৰোথান করিয়া নিস্তৱদ্ধভাবে গন্তব্য স্থানাভিমুখে চলিলেন, অমনি মনসুরও গুপ্তভাবে নিঃশব্দ পদক্ষেপে অতি সন্তৰ্পণে তাহার অনুসরণে প্ৰবৃত্ত হইলেন । অগ্ৰে ভগিনী, পশশ্চাতে ভ্ৰাতা,—উভয়ে নিশার নিস্তব্ধতার মধ্য দিয়া চলিতেছেন, কিন্তু ভ্ৰাতা ভগিনীর গোচরীভূত হইতেছেন না । ক্ৰমে নগরের শোভন উদ্যান ও অট্টালিকাশ্ৰেণী অতিক্ৰম করিয়া একটা বিস্তীৰ্ণ প্ৰান্তরে আসিয়া পড়িলেন। তথাপি গমনে বিরাম নাই—প্ৰান্তর পার হইয়া শেষে একটী নিবিড় অরণ্যের সম্মুখে উপস্থিত হইলেন । কুত্ৰাপি জনপ্ৰাণী নাই, প্ৰকৃতি মোনব্ৰত অবলম্বন করিয়া শান্তিসুখে বিশ্ৰাম করিতেছেন । আকাশে আজ চন্দ্ৰ নাই ; কিন্তু লক্ষ লক্ষ তারকা প্ৰক্ষুটিত পুম্পের ন্যায় আপনাদের ক্ষীণ রাজতরশ্মি বিতরণ করিয়া নৈশ তমিত্রের তরলতা সম্পাদন করিতেছে । এহেন সময়ে এই দুৰ্গম স্থানে সরলা কামিনী একাকিনী—এক