পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্থ পরিচ্ছেদ আজ তোমার এ ভয়ানক দুৰ্গতি দেখিতেছি কেন ? তোমার সেই তপোবল কি এই সামান্য সৈন্য-বলের নিকট পরাভূত হইল ? দুৰ্দান্ত শাৰ্দল-সংগ্ৰামে ভীরু প্ৰকৃতি অজের জয় ! এ অতি আশশ্চৰ্য্য ও বিড়ম্বনা দেখিতেছি । হায় ভণ্ড যোগি ! যদি তুমি বাস্তবিকই সাধক হইতে, যদি তোমার অণুমাত্ৰও সাধনার বল থাকিত, তাহা হইলে শত সহস্ৰ বিপ্ল-বিপত্তি অতিক্ৰম করিয়া অাজ এই কষ্টকর বন্ধন-যন্ত্ৰণা হইতে অবলীলাক্ৰমে আত্মরক্ষা করতে সমৰ্থ হইতে । আহো ! যে অদূরদৰ্শী ব্যক্তি ছলনার ছদ্মবেশে দেহাবৃত করিয়া—ধৰ্ম্মের ভাণ করিয়া অধৰ্ম্ম সঞ্চয় করে এবং তদ্ধাতু পরিশেষে আপনি ঘোর বিপদে পতিত হয়, এ জগতে তাহার অপেক্ষা অধিক অৰ্ব্বাচীন অার কে অাছে ?” মহৰ্ষির কৰ্ণে এই বিদ্ৰুপসূচক কটুক্তি সুতীক্ষ শেলের ন্যায় প্ৰবেশ করিল । মূখের কৰ্কশ বাক্যে চাঞ্চল্য প্ৰকাশ করা অনুচিত জানিলেও তিনি কেবল তাহাকে অপ্ৰতিভ কণাৰ্থ তাহার বিক্ৰপ-বাণী শ্ৰবণমাত্ৰ সেই সশস্ত্ৰ রাজপ্রহরীবেষ্টন ও নাগরিকগণের জনতার মধ্যস্থলে থাকিয়া শত-সহস্ৰ সতৰ্ক নেত্ৰে ধাঁধা লাগাইয়া সহসা কোথায় যে অন্তহিঁত হইয়া গেলেন, তাহা কেহ অনুভব করিতেই পারিল না। । তখন রাজকিঙ্করগণ ও জন সাধারণ সকলেই বজাহতের ন্যায় স্তম্ভিত, বিস্থিত ও কিংকৰ্ত্তব্য বিমূঢ় হইয়া নীরবে পরস্পরের বদন নিরীক্ষণ করিতে লাগিল । মুখে শব্দ নাই, নয়নে পলক নাই, হৃদয়ে শোণিত অচল, অঙ্গ প্ৰত্যঙ্গ সম্পন্দন-রহিত- শক্তিশূন্য—স্থির । নাট্যশালার পট