পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৰ্ষি মনসুর 58 বিবেচনা করিতেন না । অাবার কখন তিনি লোকলোচনের গোচরে আসিয়া স্বেচ্ছায় ধৃত হইয়া কারাগৃহে নীত হইতেন ; কিন্তু আবার পরক্ষণেই যোগবলে তথা হইতে অদৃশ্য হইয়া নিজ নিকেতনে প্ৰস্থান করিতেন । এইরুপে তিনি ঐন্দ্ৰজালিকের মায়াবিদ্যার ন্যায় নানা অত্যন্ধুত কাৰ্য্য দ্বারা সকলকে বিস্ময়াভি ভূত করিতে লাগিলেন । সাধারণে তাহার এই প্ৰকার অলৌকিক ক্ষমতা দেখিয়াও ঈৰ্ষাবশতঃ তাহার অপযশঃ ব্যতীত প্ৰশংসা কীৰ্ত্তন করিল না। । এই অবস্থায় অনেক দিন অতীত হইয়া গেল । মনসুরের সম্বন্ধে সাধারণের মধ্যে নিত্য নুতন নুতন বাদানুবাদ চলিতে লাগিল । কাণ্ডজ্ঞানহীন মুখেরা মনসুর শৃঙ্খলাবদ্ধ হইয়া বন্দীভাবেই আছেন, ইহা দৃঢ় বিশ্বাস করিল। কিন্তু তত্ত্বজ্ঞ জ্ঞানী ব্যক্তিরা ইহাতে মেীনাবলম্বন করিয়া থাকিতেন । একদা মহৰ্ষি বন্দী অবস্থায় কারাবাসের অভ্যন্তরে দেখেন, অসংখ্য বন্দ সুদৃঢ় লেীহশৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকিয়া দুঃসহ যন্ত্ৰণা । ভোগ করিতেছে । তদৰ্শনে তাহার অন্তরে আঘাত লাগিল । তিনি দয়াদ্ৰ হইয়া তাহাদের সেই ভীষণ কষ্টের উপশম করিতে চিন্তান্বিত হইলেন । অবশেষে যখন দিবাগতে রাত্ৰি উপস্থিত হইল, তখন তিনি প্ৰত্যেকের কারাবাসের কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন । বন্দীবৃন্দ আপন আপন দুৰ্দ্দশার পূর্ব ঘটনা বৰ্ণনা করিলে পর তপস্বিপ্ৰবর কহিলেন , “ভ্ৰাতৃগণ ! আমি তোমা দিগকে এই মুহূৰ্ত্তেই এই অসহ্য কারাযন্ত্ৰণা হইতে মুক্তি প্ৰদান