পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮৩ সপ্তম পরিচ্ছেদ তাহাই সৰ্ব্ববাদিসন্মত ও শিরোধাৰ্য্য হইবে । তাই পুনঃ নিবেদন করিতেছি, তাহার মত গ্ৰহণ না করিয়া একাৰ্য্যে অগ্রসর হওয়া অবিধেয় । ” খলিফা আল মোক্তাদীর বিল্লাহ প্ৰজারঞ্জক, ন্যায়বান ও নিতান্ত ধৰ্ম্মভীরু ব্যক্তি । তাহার শাসনশৃঙ্খলা ও সুবিচারের তো কথাই ছিল না, কিন্তু সৰ্ব্বোপরি ধৰ্ম্মের দিকে সতত তীক্ষ্ম দৃষ্টি থাকায় বিধাতার কৃপায় তদীয় সুবিস্তীৰ্ণ সাম্ৰাজ্য-মধ্যে ইসলামের খেলাপ কোন একটী সামান্য কাৰ্য্য সংঘটিত হওয়া দূরে থাকুক, একটী বিরুদ্ধ বাক্যও উচ্চারিত হইতে পারিত না । কিন্তু আজ এক বিষম বিপরীত ভাব দেখিয়া তিনি সাতিশয় মৰ্ম্মাহত, বিস্মিত, বিচলিত ও চিন্তাকুল হইলেন । অভিযুক্ত ব্যক্তি অজ্ঞান বা সাধারণ লোক হইলে ভাবিবার অধিক প্ৰয়োজন ছিল না, পরন্তু ইনি তো যে-স ব্যক্তি নহেন, ইনি মহাজ্ঞানী দরবেশ মনসুর—মনসুরের বিরুদ্ধে প্ৰাণদণ্ডের অভিযোগ ! কি সৰ্ব্বনাশকর ঘটনা ! ইহা যে ভাবিবারই ক্ষেত্ৰ । বিশেষতঃ ধৰ্ম্মাধিকরণে উপবিষ্ট হইয়া অানু পূৰ্ষিক পৰ্য্যালোচনা পূৰ্ব্বক ন্যায়সঙ্গত কাৰ্য্য করাই যথাৰ্থ সুবিচারক ও সৰ্ব্বলোকে প্ৰশংসিত ব্যক্তির কৰ্ত্তব্য । যিনি তাহাতে অক্ষম, যাহার সে দৃঢ়তা নাই, সেই দুৰ্ব্বলচেতা ভীর মানব ধৰ্ম্মজগতের পরিরক্ষক খলিফা-পদবাচ্য নহেন, তিনি সুবিচারক ও প্ৰশংসা বলিয়া পরিকীৰ্ত্তিত হইতেও পারেন না । এই ধারণা বশতঃ বিচক্ষণ খলিফা আল মোক্তাদীর বিল্লাহ,