পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ এই আসন্ন িবপদেও মনসুর িবকারশূন্য—চিন্তার লেশমাত্ৰ নাই, হাসিতে হাসিতে অমানবদনে উত্তর করিলেন ,—“দয়াদ্র সখে ! সমস্তই বুঝিয়াছি, আমি সমস্তই জানি ; কিন্তু আর গভীর অনুশোচনায় বা তীব্ৰ তিরস্কারে ফল কি ? তোমার উপদেশ-ৰূপ অঙ্কুশ-প্ৰহারেও আমার উন্মত্ত মনোমাতঙ্গ বারণ মানিতে চাহে না । । আমি যে সেই জন্মমৃতু্যনিয়ন্তা, ভাগ্যলিপি প্ৰণেতা মহান আল্লার নামে জীবনোৎসৰ্গ করিয়াছি । প্ৰাণের প্রতি আর মায়া নাই, —মমতা নাই,—স্নেহ নাই,—সমস্তই বিদায় দিয়াছি,—চির বিদায় দিয়াছি। ভয় কিসের ? অার কাহার ভয় করিব ? পাষাণ করিয়াছি হৃদয় । হউক শত বজ্ৰপাত, এ হৃদয় পাতিয়া দিব ! ভাই ! আমি প্ৰেমময়ের প্ৰেম-সমুদ্রে নিমজিত—উত্তাল তরঙ্গ-তাড়নায় হা-ডুবু খাইতেছি, উঠিবার সামৰ্থ্য নাই। এ সমুদ্ৰ অপাের, অসীম, অতলস্পৰ্শ। আমি দিকৃহারা—যে দিকে তাকাই, দেখিতেছি কেবল অনন্ত জলরাশি থৈ থৈ—তর তর করিতেছে । হায়, অশেষ যত্নে—প্ৰাণপণ শক্তিতে অন্বেষণ করিয়াও ইহার তীরভূমি পাইবার উপায় নাই । ফলতঃ বিপদের ভ্ৰকুটিতে আমি আর শঙ্কিত নহি । কারণ শাস্তি এবং সুখ, উভয়ই আমার পক্ষে তুল্য । সখে ! আমি তো এখন জীবনী-শক্তিরহিত জড়পিণ্ড । অামি তো মৃত ! কি আশশ্চৰ্য্য, মৃত ব্যক্তিকে মরিতে হইবে বলিয়া কি পুনঃ ভয় প্ৰদৰ্শন করিতে হয় ? মরার উপর খাড়ার প্রহার মূখের কাৰ্য্য নিতান্ত কাণ্ডজ্ঞানহীন অৰ্ব্বাচীনের প্রস্তাব ! ভাই, তোমরা