পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নজরুল ইসলামের কথা-সাহিত্যে অতুলনীয় গ্ৰন্থ ব্যথা দান ‘অানন্দ বাজার পত্ৰিকা” বলেন,—“ব্যথার দান একখানি গদ্যকাৰ্য । তরুণ কবির ব্যথা-ভারাতুর যেীবনের অৰ্দ্ধনগ্ন স্মৃতির রাগরক্তে অনুরঞ্জিত কাহিনী এই কাব্যের কথাবস্তু । সমস্ত কাহিনী গুলির উপর মৃত্যুর মসীগাঢ় ছায়া নিদারুণ ভবিতব্যতার মত বুহিয়াছে। তাই সেই ছায়ার অবগুণ্ঠনে প্ৰেমকরণ হৃদয়ের ব্যথা-ক্ৰন্দন আপনি করুণ হইয়া উঠিয়াছে।” সুপ্ৰসিদ্ধ সাপ্তাহিক ‘অরণি' বলেন,— “বাঙলার কাব্য-জগতে রবীন্দ্ৰমানসের প্রাবল্যের যুগেও যিনি আপন স্বকীয়তায় জাতীয় কবির সম্পূৰ্ণ এক নুতন তেজস্বী ভূমিকায় অবতীৰ্ণ হইয়াছিলেন, তিনি কাজী নজরুল ইসলাম । কবি নজরুলকে সেই ভাবেই বাঙলা দেশ চিনে এবং বিশিষ্ট আসন দেয় । ‘ব্যথার দান’ অবশ্য কবিমনের আর এক প্ৰকাশ। 'উদভ্ৰান্ত প্রেম’ যে-হিসাবে বাঙলা-সাহিত্যে একটী বিশিষ্ট স্থান অধিকার করিয়া আছে এবং ষেভাবে বিদগ্ধজনকে মুগ্ধ করে,—“ব্যথার দান’-এর রস আবেদন তাহাই । কবিমনের এবং শিল্পীর রঙের সমস্ত কমনীয়তা লইয়া বাঙলার সমতলক্ষেত্ৰে গোলেস্ত, চমন, বেলুচিস্তানের আখরোট ডালিমের বন এক নৃতন জগৎ সৃষ্টি করিয়াছে—অনস্বীকাৰ্য্য। কৰ্ম্মক্লান্ত জীবনের মাঝখানে অবসর-লালায়িত নিভৃত একটা মন আছে— সেখানে কবির বিরহ-মিলন-কাহিনীর সাৰ্থক আবেদন মুগ্ধতা আনে অার এক কালের, অার এক জগতের । বইটীর পঞ্চম সংস্করণে সে