পাতা:দিল্লী চলো - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ভবিষ্যতের কাজ

 এক বৎসর পূর্ব্বে পূর্ব্ব-এশিয়ায় ভারতীয় স্বাধীনতা-আন্দোলন যখন নূতন প্রেরণা লাভ করেছিল, তখন সকল কাজের গতি হয়েছিল একটি প্রধান উদ্দেশ্যমুখী। উদ্দেশ্য ছিল, স্বাধীনতা-লাভের জন্য প্রস্তুত হয়ে সশস্ত্র সংগ্রাম আরম্ভ করা। সেই উদ্দেশ্য এখন পূর্ণ হয়েছে। আজাদ-হিন্দ কৌজ ভারত-সীমান্ত অতিক্রম করেছে এবং বর্ত্তমানে ভারতের মাটিতে স্বাধীনতার যুদ্ধ চলছে।

 এই নূতন পরিস্থিতি কাজের নূতন জগৎ খুলে দিয়েছে। পূর্ব্বে আমাদের কাজ পূর্ব্ব-এশিয়াতেই সীমাবদ্ধ ছিল। এখন অবস্থা বদলেছে। ভারতের মুক্তিপ্রাপ্ত অঞ্চলে শাসন ও পুনর্গঠন-ঘটিত নূতন নূতন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তা ছাড়া সাফল্যের সঙ্গে যে সব সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে তার ফলেও নব সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। যেমন, কিভাবে ভারতের অভ্যন্তরে অভিযান চালানো যাবে, কি ভাবে দেশে বিপ্লবের সৃষ্টি করা যাবে। কাজেই ভবিষ্যতে আমাদের কার্য্যক্ষেত্র হবে তিনটি— প্রথম, পূর্ব্ব-এশিয়ায়; এই স্থান আমাদের রাজনৈতিক কার্য্যকলাপ এবং সামরিক অভিযানের ঘাঁটিরূপে থাকবে। দ্বিতীয়, মুক্তিপ্রাপ্ত অঞ্চলে; এখানে প্রধানতঃ শাসনকার্য্য এবং পুনর্গঠন-ঘটিত সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে এবং নতুন অভিযানের জন্যে আয়োজন করতে হবে। তৃতীয়, ইংরেজ-অধিকৃত ভারতে; সেখানে বিপ্লবের সঞ্চার করতে হবে এবং আমাদের সৈন্যদলকে সেখানে প্রবেশ করতে হবে।

 ১৯৪৩-এর ২১শে অক্টোবর পর্য্যন্ত পূর্ব্ব-এশিয়ায় ভারতীয় স্বাধীনতা