পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৩৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 আপনাদের সকলের শারীরিক কুশল জানাবেন। আমরা ভাল আছি। আমার প্রণাম জানবেন। ইতি—

সেবক 
সুভাষ 
১৩৬

শ্রীশ্রীদুর্গা সহায়

শিলং
(১৯২৭)

 * * *

 ছেলেরা এখানে থাকলে বোধ হয় শরীরটা আর একটু সারতো। তবে গিয়ে ভালোই হয়েছে—পড়াশুনার ক্ষতি হবে না। আমার শুধু মনে হয় যে এই যে এত টাকা ব্যয় হচ্ছে এখানকার জন্যে এর আরও একটু সদ্ব্যবহার হ’লে ভাল হ’ত—অন্ততঃ তাতে আমি একটু সুখী হতুম। নিজের জন্য এত টাকা ব্যয় হবে এই চিন্তা আমাকে কাঁটার মত বিঁধে—হয় তো এটা আমার দুর্ব্বলতা। কিন্তু স্বভাব তো সহজে বদলান যায় না।

 সারাভাইরা (অম্বালাল সারাভাই) ১৭ তারিখে রওনা হয়েছেন ষ্টীমারে। বোধ হয় পঁচিশে নাগাদ পৌঁছাবেন। যদি তাঁদের একবার চা-এ নিমন্ত্রণ করতে পারেন তা’ হলে ভাল হয়। তাঁরা বোধ হয় ২।১ দিনের বেশী থাকবেন না। আমি বিধানবাবুকে বলেছি যেন একবার সেবাসদনটা তাঁদের দেখান।

 ছেলেদের সকলকে কাশীরাম দাসের মহাভারত ও কৃত্তিবাসের রামায়ণ পড়তে দিবেন। যোগীনবাবুর সংস্করণগুলি বোধ হয় সবচেয়ে ভাল। তিনি আধুনিক বাঙ্গলা ভাষায় কাশীরাম দাস ও কৃত্তিবাসের প্রাচীন ভাষা তর্জ্জমা করেছেন এবং কবিতার আকারে লিখে গেছেন—

৩৪৭