পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ہوا কাউয়েল সাহেব [ لاوه-وا yetاد আহার করিতে যাইতাম ; সেই বাসাতে হরিনাভির রামগতি চক্রবর্ত্তী নামে এক বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ থাকিতেন। তিনি জ্ঞাতি সম্পর্কে আমার মায়ের খুড়া। সেই সূত্রে তঁহাকৈ দাদামশাই বলিয়া ডার্কিতাম। তিনি আমাকে বড় ভালবাসিতেন। আমার বাবা আমাকে প্রহার করিতে প্রবৃত্ত হইলে তিনি আমাকে রক্ষা করিতেন, এবং তাহা লইয়া বাবার সঙ্গে বাকবাকি করিতেন। এই কারণে আমি তঁহাকে আমার রক্ষক মনে করিতাম । জেলিয়াপাড়াতে যখন আমাদের বাসা, তখন ১৮৫৭ সালে মিউন্টিনী ঘটে ; এবং আমাদের কলেজ পটলডাঙ্গা হইতে উঠিয়া গিয়া বহুবাজার রোডের তিনটি বাড়ীতে থাকে। মিউন্টিনী থামিলেও ঐ স্থানে কলেজ কিছু কাল থাকে, তৎপরে নিজ আলিয়ে উঠিয়া আসে। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সংস্কৃত কলেজ ত্যাগ।-ইতিমধ্যে কর্তৃপক্ষের সহিত বিবাদ করিয়া বিদ্যাসাগর মহাশয় কলেজের অধ্যাক্ষের পদ পরিত্যাগ করেন। আমি পেট টিপুনির ভয়ে পলাইয়া বেড়াইতাম বটে, কিন্তু তঁহাকে অকপট শ্রদ্ধা ভক্তি করিতাম। তিনি তখন আমাদের আদর্শ পুরুষ। ১৮৫৬ সালের শেষ ভাগে যেদিন প্রথম বিধবাবিবাহ দেওয়া হয়, সেদিন আমি বাসার লোকের সঙ্গে সে বিবাহ দেখিতে গিয়াছিলাম। সে কি ভিড় সুকিয়া ষ্ট্রীটের রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের বাটীতে ঐ বিবাহ হয়। বিধবাবিবাহের বৈধতা বিষয়ে আমাদের বাসাতে সর্ব্বদা বিচার হইত ; এবং বাসার অনেকে তার পক্ষ ছিল। সুতরাং আমি জ্ঞানোদয় হইতেই এই সংস্কারের পক্ষপাতী বলিলে অত্যুক্তি হয় না ; বিদ্যাসাগর মহাশয় যখন কলেজ ছাড়িয়া চলিয়া গেলেন, আমরা বালকেরা পর্য্যন্ত মহা দুঃখিত হইলাম । কাউয়েল সাহেব।--তাহার কাজে ই বি কাউয়েল সাহেৰ আসিলেন। তিনি ; সাধুতার মূর্ত্তি ছিলেন। সকলেরই মুখে তাহার