পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

svitvi,Ð 0 ) , ব্রাহ্ম বালিকা শিক্ষালয়ের প্রথম কল্পনা `8ኦoዳ দে, আমাদের একটা খেলা হবে।” অমনি ক্লাস শুদ্ধ ছেলে আমাকে ঘেরিয়া ফেলিল, “দেখুন, কি খেলা হবে ?” আমি। রোসো না, দেখবে এখন, খুব মজার খেলা হবে। তার পর মাদুর পাতা হইলে সেই মাদুরে ছেলেদিগকে লইয়া বসিলাম । প্রথমে তাহাদেরই সর্বসম্মতি ক্রমে একটা নিয়ম করিয়া লইলাম যে, খেলাল মধ্যে যে দুষ্টামি বা গোল করিবে, তাহাকে খেলা হইতে বাহির করিয়া দেওয়া হইবে। শেষে খেলা আরম্ভ হইল। আমি শ্লেটে লুকাইয়া লুকাইয়া একটি ঘোড়া আঁকিলাম। তাহার জিভ বাহির হইয়া আছে! শেষে তাহার জিভে “ক, লেজের আগায় ‘খ’ পায়ের খুরে “গ,” এইরূপে বর্ণমালার অক্ষরগুলি লিখিলাম। শেষে সেই ঘোড়া যখন সকলের সম্মুখে বাহির করিলাম, তখন মহা হায্যের রোল উঠিল। যাহাঁদের কিছু কিছু অক্ষর পরিচয় হইয়াছিল, তাহারা চীৎকার করিতে লাগিল, “ঘোড়ার জিভে কি, ল্যাজে খ,” ইত্যাদি। আর যাহাঁদের বর্ণপরিচয় হয় নাই, তাহারা ঝুকিয়া জিজ্ঞাসা করিতে লাগিল, “কই ভাই, দেখি কেমন জিভে ক,” ইত্যাদি। দেখিতে দেখিতে তাহদের বর্ণপরিচয় হইতে লাগিল। তৎপর দিন যেই স্কুলে প্রবেশ করিয়াছি, আমনি সর্বনিম্ন শ্রেণীর ছেলেরা আসিয়া আমাকে ঘিরিয়া বলিতে লাগিল, “পণ্ডিত মশাই, তুমি আমাদের ক্লাসে এস, আমাদের সঙ্গে খেলা করবে।” এই ঘটনাটা আমার চিরদিন মনে রহিয়াছে। পরে হরিনাভিতে ও ভবানীপুরে যখন হেডমাষ্টারি করিয়াছি, তখন নিম্ন শ্রেণীর মাষ্টারদিগকে ছেলেদিগকে ভুলাইয়া পড়াইবার উপদেশ দিয়াছি। ইংলণ্ডে গিয়া কিণ্ডারগার্টেন স্কুল দেখিয়া ঐ সকল ভাব আমার মনে আরও প্রবল হয় । ব্রাহ্ম বালিকা শিক্ষালয়ের প্রথম কল্পনা ।-ব্রাহ্ম পাড়ায় ছোট ছোট ছেলেমেয়েদিগকে সর্বদা সমাজের মাঠে খেলিতে দেখিয়া মনে চিন্তা