পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দল্টিপাত করিতেন না। তাহার একটি নিদর্শন দিতেছি। একবার দভিক্ষ হইয়া অনেকগলি নিরক্ষ লোক আমাদের গ্রামে উপস্থিত হইল। তাহদের মধ্যে একটি নিম্নশ্রেণীর লোক চরম অবস্থায় মতপ্রায় হইয়া আমাদের পাড়াতে আসিয়া পড়িল । পাড়ার ব্রাহণ কন্যাগণ তাহাকে ঘিরিয়া ফেলিলেন। আমার জননীও তাহার মধ্যে । মা তাহার কাছে বসিয়া, “তুমি কত দিন খাওনি ?” বলিয়া জিজ্ঞাসা করিতে লািগলেন। সে তখন কথা বলতে পারে না, কেবল হাঁ কািরয়া নিজের ক্ষধা জানাইতে গল । DD DDDBDSDBDD DDB BBB BDBD DBS BB BDDBDm DBBDB DBDDBD গেলেন। পাড়ার মেয়েরা বলিতে লাগিলেন, “ও মা, তা কেমন করে হবে! ও কি জাত, তার ঠিক নাই। কোনও নীচ জাতীয় লোককে ডাক, সে খাওয়াক," ইত্যাদি, ইত্যাদি। মা সে কথার প্রতি কর্ণপাত করিলেন না। ভাত আনিয়া ভালো করিয়া মাখিয়া তাহার মাখে দিতে লাগিলেন, সে আহার করিল। জল দিলেন, জল পান। করিল। কিন্তু হায়, পরীক্ষণেই প্রাণবায় তাহার দেহকে পরিত্যাগ করিল। আমার মা কাঁদিতে লাগিলেন। তাহার পর মা আমাকে বলিয়াছিলেন, “ও বোধহয় পর্বজন্মে ज्नाभाद्ध काना जाएशौक्ष छिल ।” কোথাও পরাণ পাঠ হইতেছে বা ধমের ব্যাখ্যা হইতেছে শনিলে, মাকে নিতান্ত আসসােথ অবস্থাতেও এবং নিতান্ত বাধক্যেও ধরিয়া রাখা যাইত না। আমাদের বাড়ি হইতে দরে হইলেও লাঠির উপর ভর করিয়া সেখানে গিয়া উপস্থিত হইতেন। একবার মা আসিয়া আমার বালিগঞ্জের বাসাতে কিছুদিন ছিলেন। তাহার মধ্যে তাঁহার কি একটা ব্রত উপস্থিত হইল। ঐ ব্রতের সময় ব্রতকারিণীকে একটা ‘কথা’ শনিতে হয়। আমি পজা করিবার ব্রাহণ আনিলাম, কিন্তু সে বেচারা সে ‘কথাটা ऊान्मिउठ •ा । আমি আবার ব্রাহণ খাজিতে বাহির হইলাম। ব্রাহমাণ পাইলাম না। আসিয়া দেখি, মা আসন দিয়া আমার ভবনের একপাশে বা বসিয়াছেন, এবং বিড়-বিড় করিয়া সমগ্র ‘কথা’টি বলিয়া যাইতেছেন। আমার কন্যারা তাঁহাকে ঘিরিয়া হাসিতেছে, বলিতেছে, “ও মা, এ কেমন ‘কথা’ শোনা !” তিনি হসন্ত সঞ্চালন দবারা তাহাদিগকে চুপ করিতে বলিতেছেন। শেষে উঠিয়া হাসিয়া বলিলেন, “কেন ? ‘কথা’ শোনা চাই, এই মাত্র ধমে বলে। পরের মাখে শািনবে কি নিজের মাখে শািনবে, তার তো নিয়ম নাই ? কথাগালো আমার কানে গেলেই হল। আমারই কথা আমার কানো গেল, এই তো হল।” এক নাতনী বলিয়া উঠিল, ‘ধন্যি ঠাকুরমা তোমার বন্ধি!” মা বলিলেন, “বাঝলি না ? কথাটা না। শনলে ব্রতটা পন্ড হয়, তাই নিয়মটা রক্ষা করা গেল।” বাবা বোধহয় লোকের মাখে “বাহবা পশ্চিডত মশাই!” এই কথাটা শনিতে ভালোবাসিতেন; অন্তত আমার মাতাঠাকুরাণী এই রােপ মনে করিতেন। কারণ, কোনো সন্তুষ্ট হইতেন না; এমন করিয়া করিতে চাহিতেন যাহাতে সকলে ধন্য-ধন্য করে। ইহা যে সকল সস্থলে প্রশংসাপ্রিয়তা হইতে উৎপন্ন হইত, তাহা নহে; বাবার সহদেয়।তাই অনেক সস্থলে ইহার মলে থাকিত। লোককে দিতে খাওয়াইতে তিনি ভালোবাসিতেন। কিন্তু আমার মনে হয়, তাঁহার প্রকৃতিতে একটি প্রশংসাপ্রিয়তাও বোধহয় ছিল। যাহা হউক, মা এইটকুও সহ্য করিতে পারিতেন না। এই প্রশংসাপ্রিয়তার গন্ধটকু থাকাতে ՀԳՖ