পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিত্যক্ত হন। তাঁহার পিতা সবগীয় মণিলাল মল্লিক' আদি সমাজভুক্ত ব্রাহম ছিলেন। তিনিই ঐ পারিবারিক সমাজ সন্থাপন করেন। ১৮৭১ সালের ১৪ই আষাঢ় আমার পত্র প্রিয়ানাথের জন্ম হয়। ঢাকার অবলাবান্ধব পত্রিকা। এই সময়ের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা, অবলাবান্ধব সম্পাদক ব্রাহসমাজে সপরিচিত হুবারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের সহিত মিলন। তখন ঢাকা সমাজ সংস্কারের প্রধান ক্ষেত্রে হইয়া উঠিয়াছিল। এই সময়ে ‘মহাপাপ বাল্যবিবাহ” নামে এক পত্রিকা ঢাকা হইতে বাহির হয়, তাহাতে সেখানকার যািবক দলের উপরে আমাদের অতিশয় শ্রদ্ধা জন্মে। এই রঙ্গভূমিতে অবলাবান্ধব দেখা দিল। আমরা ভাবিলাম, এ কে বঙ্গদেশের এক কোণ হইতে নারীকুলের হিতৈষী হইয়া দেখা দিল ? অবলাবান্ধবের সম্পাদককে তখন চিনিতাম না, কিন্তু তাঁহার তাজাতাজা কথা প্রাণ হইতে আসিতেছে বোধ হইত ও আমাদের বড় ভালো লাগিতা। ক্রমে ঢাকার প্রসিদ্ধ ডেপটি ম্যাজিন্ট্রেট অভয়াচরণ দাসের পত্র প্রাণকুমার দাস একবার কলিকাতায় আসিয়া আমাকে ও অপরাপর কয়েকজনকে তাঁহার লেখক শ্রেণীভুক্ত করিয়া গেলেন। আমার যত দর স্মরণ হয়, আমি কুমারী রাধারাণী লাহিড়ীকে বলিয়া কহিয়া তাহাকেও লেখিকা করিয়াছিলাম। অবলাবান্ধবে আমার গদ্যপদ্যাত্মক প্রবন্ধ মধ্যে মধ্যে প্রকাশিত হইত। দঃখের বিষয়, উক্ত পত্রিকার একখানি ফাইলও খাজিয়া পাই নাই। অবলাবান্ধবের সহিত যোগ রহিয়াছে, সেই সময়ে একদিন কলেজে পড়িতেছি। এমন সময়ে উমেশচন্দ্র মখোপাধ্যায় আসিয়া আমাকে বলিল, “ও রে ভাই, অবলাবান্ধবের এডিটর কলিকাতায় এসেছে, আমাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছে।” আমনি আমি আমাদের ‘হিরোকে দেখিবার জন্য বাহির হইলাম। গিয়া দেখি, এক দীঘর্ণাকৃতি একহারা পরিষ, স্কুল মাস্টারের মতো লক্ষবা চাপিকান পরা, দাঁড়াইয়া আছেন। তিনি দুবারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়। সেদিন আর অধিক কথা হইল না। সে যাত্রা বোধ হয়। তিনি কয়েকদিন পরেই দেশে চলিয়া গেলেন; কিন্তু কিছদিন পরেই অবলাবান্ধব লইয়া কলিকাতায় আসিলেন, এবং পর্ববঙ্গীয় যবকদিগের নেতাস্বরপ হইয়া ব্রাহসমাজে সন্ত্রী-সন্বাধীনতার পাতাকা উড্ডীন করিলেন । এই সময় ঢাকা হইতে তাঁহার, ও বরিশাল হইতে সবগীয় বন্ধ দােগামোহন দাসের, কলিকাতাতে আগমন সন্ত্রী-সন্বাধীনতার পক্ষে যেন মণিকাণগুনের যোগ হইল। ইহার ফল পরে বলিব। A (M R) N O dit