পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V)O e শিবনাথ শাস্ত্রীব আত্মচিবিত [ ১৬শ পবিঃ স্বৰ্গধামে প্রস্থান কবিল। সে প্রাতে আমি তাহার শয্যাপাশ্বে উপস্থিত ছিলাম। বৈকালে তাহার মৃতদেহ লইয়া পাদুকাহীন পদে সকলের সঙ্গে আমরা অনেকে শ্মশানঘাটে গেলাম, এবং অঞজলে ভাসিয়া এ জীবনেব। অন্যতম গুৰুকে চিন্তানলে অৰ্পণ কবি আসিলাম । এতদিন ঝগড়া করিতেছিলাম, কিন্তু বহ্মানন্দ যখন চলিয়া গেলেন, তখন মনটা কিছুদিন নিস্তব্ধ গভীব ভাবে কি যেন ভাবিতে লাগিল। কেশবচন্দ্রেব সহিত ব্রাহ্মসমাজ লোকচক্ষে উঠিয়াছিল , তাহাতে নিবাশ হইয় তাহাব অন্তৰ্দ্ধানেব সঙ্গে সঙ্গে সেই যে পশ্চাতে পডিল, আব সম্মুখে আসিতেছে না। কোথায় তাব জীবনেব মহাশক্তি, আব কোথায় আমাদের মত দুর্বল অসার মানুষেব চেষ্টা । ১৮৮৪ সালে কেশবচন্দ্রের স্বৰ্গাবোহণ হইল। ১৮৮৮ সালে আমাব বিলাত গমন পর্যন্ত এই কালেব মধ্যে যে যে ঘটনাগুলি ঘাঁটিয়াছিল, তাহার সকলগুলি স্মবাণ নাই। দুই একটি যাহা স্মবাণ হইতেছে তাহা লিখিয়া বাখিতেছি । খাসিয়াঙ্গে নিজক্তনবাস ।-১৮৮৬ সালের গ্রীষ্মকালে আমরা সমাজের চারিজন প্রচারক, অর্থাৎ নবদ্বীপচন্দ্র দাস, রামকুমার বিদ্যাবস্তু, শশিভূষণ বসু, ও আমি, এই সংকল্প কবিলাম যে আমবা হিমালয় পাহাড়ে কিছুদিন নির্জনে বাস করিব। তৎসঙ্গে এই সংকল্পও করা হইল যে কাহারও নিকটে সাহায্য ভিক্ষণ করা হইবে না। আলোচনার পর স্থির হইল যে আমরা খার্সিয়াঙ্গে গিয়া থাকিব। দাজিলিং যাহার যাহা দিবার মত ছিল, ফেলিয়া দিলাম। সেই বুলিটী বন্ধু বর নবদ্বীপচন্দ্র দাসের হন্তে রহিল। “তিনি আমাদের কোষাধ্যক্ষ হইলেন। আমরা পূর্ববঙ্গ ও উত্তরবঙ্গ রেলওয়েয় লিকট ক্রী পাশ