পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So শিবনাথ শাস্ত্রীব আত্মচাবিত [ 8थ अंविe কয়েক মাসেব জন্য কযেদি হইল। সে কয়েদ হইয়া কলিকাতাব নিকটবর্ত্তী আলিপুব সহবেব জেলে আসিল । তখন আমি ভবানীপুবে থাকিতাম ; আমাব গ্রামবাসী ব্রাহ্ম যুবক হবনাথ বসু মহাশয় কালীঘাটে থাকিতেন। শুকাব মোল্লা মনিবেব আদেশে অন্যায্য কাজ কবিয কয়েদ হইযাছে, ইহাব জন্য হবনাথ বাবু বডই দুঃখিত হইয়াছিলেন । তিনি কযোদখানায় শুকব মোল্লাকে দেখিতে ও তাহাব জন্য খাবাব লইযা যাইতে লাগিলেন। যতদূব স্মবাণ হয়, আমি তখনও প্রকাশ্য ভাবে ব্রাহ্মসমাজে যোগ দিই নাই, কিন্তু সাধু উমেশচন্দ্র দত্ত, কালীনাথ দত্ত, তবনাথ বসু প্রভৃতি ব্রাহ্ম যুবকদিগকে প্রগাঢ় শ্রদ্ধাৰ চক্ষে দেখিতে আবস্ত কবিযাছি । প্রস্তবনাথ আমাকে শুকব মোল্লাব কযেদেব জন্য দুঃখিত দেখিযা, প্রতি ববিধাব আলিপুর জেলখানায গিয়া শুকাব মোল্লাকে মিঠাষ্ট প্রভূতি খাওযাইম আসিবাব ভাব আমাব প্রতি দিলেন , আমি তাঙ্গাই কবিতে লাগিলাম। এই জন্য শুকব মোল্লাব কয়েদেব কথা আমাব মনে আছে । স্বয়ং জমিদাব বাবুবাও সেই জমি হৃষ্টতে বাহ্মদিগকে বঞ্চিত কবিবাব জন্য চেষ্টা কবিষ, কৃতকার্য্য হইলেন না, ইভা৩ে ব্রাহ্মদেব প্রভাব বাড়িষা গেল। তখন অন্য প্রকাব নির্য্যাতন আবিস্ত হইল। একজন ব্রাহ্ম যুবক “পাড়াগাযে একি দায়, ধর্ম্ম বক্ষাৰ কি উপায় ৮” নাম দিয়া এক নাটক রচনা কবিলেন ; তাহাতে জমিদাববাবুদিগকে লোক-চক্ষে উপহাসাম্পদ করিবাব চেষ্টা কবা হইল। বিবাদটা আবও পাকিয়া গেল। অবশেষে জমিদাব বাবুবা বাড়ীতে বাড়ীতে লোক পাঠাইয়া বালিকা-বিদ্যালয়ে মেয়ে পাঠাইতে নিষেধ কবিলেন। বলিলেন, “যে মেয়ে পাঠাবে, তাকে একঘবে কলুবি।” আমি যখন প্রতি বৰিবাব গিয়া আলিপুর জেলে শুকব মোল্লাকে খাওয়াইতেছি, তখন জমিদাববাবুদেব শাসনে স্কুলে মেয়ে পাঠান প্রায় বন্ধ হইয়াছে, কেবল আমাৰ পিতামাতব দৃঢ়চিত্ততাব গুণে আমার দুই ভগিনাকে লইয়া পণ্ডিত স্কুল চালাইতেছেন।