পাতা:কৃষিতত্ত্ব - নীলকমল লাহিড়ী.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষিতত্ত্ব । আদা, হরিদ্র, আলু, প্রভৃতি গুল্ম জাতির ও বীজ উত্তম উত্তম দেখিয়া সঞ্চিত করিয়া রাখিবে । বঙ্গ দেশের মৃত্তিকার যে প্রকার উৎপাদিকা শক্তি এবং ঋতু সকলের যে প্রকার শীততা ও উষ্ণতা প্ৰভৃতির গতি তাহাতে ভিন্ন ভিন্ন দেশ জাত শস্য ফলাদি বঙ্গ দেশে অনায়াসে উৎপন্ন হইতে পারে। ভূমি পরীক্ষা ও সময় বিবেচনা করিয়া কৃষিকাৰ্য্য করিতে পারিলে ভিন্ন ভিন্ন দেশজাত উদ্ভিদ জন্মাইয়া স্বচ্ছন্দে তাহার ফলভোগ করা যায়। 西可日 জলের সাহায্য ব্যতিরেকে উদ্ভিদ অঙ্কুরিত ও বদ্ধিত হয় না, এমন কি জলের অভাবে উদ্ভিদের জীবন রক্ষা হয় না, বাহিরের জল না দিলেও মৃত্তিকায় যে জলীয় ভাগ থাকে, যাহাকে মাটির রস বলে, তাহাতেও অন্ধুর উদগত হইয়া উদ্ভিদ বৰ্দ্ধিত হয়। ফলতঃ উদ্ভিদের জীবন রক্ষার মূলই জল। উদ্ভিদ শরীরে যে রস থাকে, তাহ প্ৰতি মুহুৰ্ত্তে কিয়ৎ পরিমাণে শুষ্ক হইতেছে। অতএব যদি মূল দ্বারা নূতন রস আকর্ষণ করিতে না পায় বৃক্ষ শুষ্ক হইয়া अझिा राम्न ! পক্ষান্তরে, যে জাতীয় উদ্ভিদের নিমিত্ত যে পরিমাণ জলের প্রয়োজন, তদধিক জল বিনাশের কারণ হয়, ভিন্ন ভিন্ন বৃক্ষে ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণের জল আবশ্যক। এমন কি, একজাতীয় উদ্ভিদ আমন ধান্য উহা আশু ধান্য অপেক্ষ শত গুণ পরিমাণ জল অপেক্ষা করে। আবার প্রয়োজন অপেক্ষা অল্প জলেও বিশেষ উপকার হয় না। জলের অভাব স্থলে যে জাতীয় উদ্ভিদের নিমিত্ত যে পরিমাণ জলের প্ৰয়োজন, সাবধান হইয়া সেই পরিমাণ জল যোগাইবার উপায় করিবে । বন্যা অথবা বৃষ্টি হইয়া ক্ষেত্রে অথবা বৃক্ষ মূলে প্রয়োজনের অধিক জল সঞ্চিত হইলে তাহা বহির্গত এবং স্থানান্তরিত করিবার উপায় করিয়া দিবে। অল্প জলে যেমন উপকার হয় না, অধিক জলে তেমনি অপকার হয়। কয়েকটা বিশেষ বৃক্ষ ব্যতীত উদ্ভিদ মাত্রেরই মূল বদ্ধ জলে পচিয়া যায়। বৃষ্টির জল বায়ু হইতে এমােনিয়া প্রভৃতি বাষ্প সঙ্গে লইয়া ভূতলে পতিত হয়। স্মৃত্তিকা ঐ সকল বাষ্পকে আত্মসাৎ করিয়া উদ্ভিদকে পোষণ করে। এই জন্য নদীর নিকটস্থ মৃত্তিক অধিক উৰ্ব্বারা হয়। বৃষ্টির জল ভূমিতে পড়িয়া মৃত্তি