পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‰9ዎ8 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচরিত উদরান্নের জন্য চিন্তা নাই, তখন তিনি তঁহার জীবন কোনও ভাল কার্য্যে দিবেন ; তিনি নিয়শ্রেণীর মধ্যে শিক্ষাবিস্তার করিবার প্রয়াসে স্বীয় জীবন উৎসর্গ করিবেন। এই সংকল্প করিয়া তিনি লণ্ডন সহরের পূর্বভাগে আসিয়া একটি বাড়ী ভাড়া করিয়া তাহতে প্রতিষ্ঠিত হইলেন ; কারণ ঐ বিভাগেই অধিকাংশ নিম্নশ্রেণীর শ্রমজীবী লোকের বাস। টয় নবী প্রথম প্রথায় ঐ শ্রেণীর লোকদিগকে নিজ ভবনে ডাকিয়া আনিয়া তাহদের সঙ্গে পাঠ ও মৌখিক উপাসনাদি দ্বারা কার্য্যারম্ভ করিলেন । ক্রমে তাহার কার্য্যের আশ্চর্য্য ফল দেখা গেল, এবং অপর কয়েকজন শিক্ষিত যাবাক আসিয়া তাহার সহিত যোগ দিলেন। তাহারা নৈশবিদ্যালয় স্থাপন করিয়া শ্রবিজীবী দিগকে রীতিমত শিক্ষাদান করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। তঁহাদের দৃষ্টান্তের ফল ত্বরায় ফলিল। নৈশবিদ্যালয় করিয়া শ্রমজীবী দিগকে শিক্ষাদান করিবার জন্য চারিদিকে আয়োজন হইতে লাগিল। নানা স্থানে “ওয়াকিং মেনসা इंन्ष्ट्रन्थेिछ्रे” (Working Men’s Institute ) নামে পাঠাগার-সকল নির্ম্মিত হইতে লাগিল । ক্রমে টয় নবীর মৃত্যু হইল। তখন তাহার স্বদেশবাসীগণ র্তাঙ্গার প্রতি সন্ত্রম প্রদৰ্শনার্থ লণ্ডনের ঐ পূর্ব বিভাগে তাহার কার্য্য ক্ষেত্রের সন্নিধানে “টিয়নবী হল” (Toynbec Hall) নামে শিক্ষামন্দির নির্ম্মাণ করিলেন। তাহা অদ্যাপিও নিয়শ্রেণীর মধ্যে শিক্ষাবিস্তারের জন্য ব্যবহৃত হইতেছে। এতদ্ভিন্ন লণ্ডনের ঐ পূর্ব্বভাগেই “দি পীপলস প্যালেন্স” (The People's Palae-el) অর্থাৎ “প্রজাকুলের প্রাসাদ” নামে এক প্রকাণ্ড অট্টালিকা নির্ম্মিত হইল, তাহা এক্ষণে নিয়শ্রেণীর শিক্ষালয়রূপে ব্যবহৃত হইতেছে। আমি সে প্রাসাদ দেখিয়াছি। তাহাতে নিয়শ্রেণীর জঙ্গ পাঠাগার, পুস্তকালয়, রঙ্গালয়, ভোজনাগার প্রভৃতি সকলই আছে। ঐ । প্রাসাদের মধ্যে দণ্ডায়মান হইলে ইংরেজদের পরহিতৈষণার নিদর্শন দেখিয়া শরীর কণ্টকিত হইতে থাকে।