পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৮৮ ] সন্ধ্যাকালে রাজপথস্থ বালিকাদের চিত্তবিনোদন Ny. এই চিন্তা লইয়া তিনি ঘরে গেলেন, এই চিন্তা তাহার মনকে ঘিরিয়া লাইতে লাগিল, এবং তিনি বন্ধুবান্ধবের সহিত ঐ বিষয়ে আলাপ করিতে লাগিলেন। অবশেষে তাহার ফলস্বরূপ শিশুরক্ষিণী-সভা নামে একটী সভা স্থাপিত হইল ; শত শত ব্যক্তি তাহার সভ্যশ্রেণীতে প্রবেশ করিলেন। দেখিতে দেখিতে একটা প্রকাণ্ড ব্যাপার হইয়া উঠিল। তৎপরে এই কয়েক বৎসবে সেই সভার সভ্যগণ মহাকার্য্য সমাধা করিয়াছেন, শিশুরক্ষার জন্য পালেমেণ্টের দ্বারা নূতন আইন বিধিবদ্ধ করিয়া লইয়াছেন। সে আইন অনুসারে শিশুদের প্রতি নিৰ্দয়তার জন্য পিতামাতাকে দণ্ডনীয় হইতে হয়। ইংলণ্ডের ন্যায় মাতাল দেশে এইরূপ আইন নিতান্ত 2Estiers সন্ধ্যাকালে রাজপথে ভ্রমণকারিণী বালিকাদিগের চিত্তবিনোদন।--আর একটী কার্য্যের সুচনাও এইরূপ কাবণে হইয়াছিল। একদিন এক ভদ্রমহিলা লণ্ডনের রাজপথ দিয়া যাইতে যাইতে দেখিলেন, বৈকাল বেলা সন্ধ্যার পূর্বে রাজপথে হাজার হাজার প্রাপ্তবয়স্ক বালিকা, অর্থাৎ ১৬ হইতে ২৫ বৎসর। পর্য্যন্ত বয়স্কা যুবতী স্ত্রীলোক বেড়াইতেছে। এরূপ দৃশ্য সেখানে নূতন দৃশ্য নহে, কিন্তু সেদিন ঐ দৃশ্য উক্ত মহিলার অন্তরে এক নূতন ভাবের উদয় কুরিল। তিনি ভাবিতে লাগিলেন, এই সকল মেয়ে মফঃসল হইতে আসিয়াছে, কাজকর্ম্ম লইয়া এখানে বাস করে। কেহ দোকানে কাজ করে, কেহ পোষ্ট আফিসে কাজ করে, কেহ হোটেলে কাজ করে। সন্ধ্যা হইলে ছুটি পায়, রাস্তাতে বেড়ায় ; দশজনে ‘মেসা করিয়া থাকে, পিতামাতা নিকটে থাকে না । ইহাদিগকে দেখে কে ? এই চিন্তা করিতে করিতে তিনি বাড়ীতে আসিলেন। স্বীয় পতির সহিত এই কথাতে প্রবৃত্ত হইলেন, এবং বন্ধু-বান্ধবের সহিত এই বিষয়ের আলোচনা করিতে লাগিলেন। ক্রমে এই চিন্তা তাহাকে বিরিয়া লইল । অবশেষে তাহান্না কতিপয় মহিলা একত্র হইয় একটি ছোট সভা করিলেন। প্রথমে লণ্ডনেয়