পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পিতাব স্বমতপ্রিয়তা 総切*。 তিনি ঘোর আপত্তি উত্থাপন করিয়াছিলেন ; গ্রামের জ্ঞাতি কুটুম্ব বন্ধু বান্ধবের মধ্যে অনেকে আপত্তি উত্থাপন করিয়াছিলেন। বাবা কাহারও কথাতেই কর্ণপাত করিলেন না ; বিবাহ দিয়া তবে ছাড়িলেন। আর একটী বিষয়ও এইরূপ স্মরণীয়। আমি ব্রাহ্মসমাজে যোগ দিলে তিনি বলিলেন, “আমার পৈতৃক বিষয়ের এক কাণা কড়িও ওকে দেব না।” মধ্যে একটা উইল করিয়া আমার কনিষ্ঠা ও সর্বজ্যেষ্ঠা ভগিনীদ্বয়কে বাস্তু-ভিটাতে স্থাপন করিবার ব্যবস্থা করিয়াছিলেন । সে টহল গোপনে বাহির করিয়া লইয়া আমার মা ছিড়িয়া ফেলেন। ৩ৎপাবে বহুবৎসর চলিয়া গেল । আমি নিজ ব্যয়ে বাবা ও মার মন্তক রাখবার জন্য আগেকার খ’ড়ো ঘরের পরিবর্তে কোটাবাড়ী করিয়া “দলাম ; মা তাহাতে কয়েক বৎসর বাস করিয়া স্বৰ্গারোহণ করিলেন । তাহার স্বগারোহণের পর বাবা নিজের সেই প্রতিজ্ঞা রক্ষা করিবার জন্য আবার এক উইল করিয়া আমার কনিষ্ঠ ভগিনীকে পৈতৃক ভিটাতে স্বপন করিলেন, এবং আমাকে সমুদয় পৈতৃক সম্পত্তি হইতে ৰঞ্চিত করিলেন ; সামান্য চারিখণ্ড ব্রহ্মোত্তর জমি ছিল, তাহার তিন খণ্ড আমার তিন ভগিনীকে দিয়া, তাহদের অনুরোধে সামান্য একখণ্ড জমি আমার পুত্র প্রিয়ানার্থকে দিলেন। তঁহার দুইখানি গ্রন্থের একখানি প্রিয়নাথকে ও অপরখানি আমার পত্নী বিরাজমোহিনীকে দিলেন। আমার নির্ম্মিত কোটাবাড়ীটি তিনি যে আমার কনিষ্ঠ ভগিনীকে দিয়াছেন, তাহার ও এই ব্যবস্থাতে আমি সম্মতি দিয়াছি; কারণ আমার কনিষ্ঠ ভগিনী প্রাণ দিয়া বহু বৎসর তাহার সেবা করিয়াছে। আমি প্রথমে বলিয়াছিলাম, “উইল লেখা, উইল রেজিষ্টারী করা প্রভৃতির প্রয়োজন কি ? আপনার কি ইচ্ছা, বলিয়া যান ; আমি তদনুরূপ ব্যবস্থা করিব।” শেষে ভাৰিলাম, একগুয়ে মানুষের ঘমেয় ইচ্ছাটা সম্পন্ন না হইলে মনটা স্থির হইবে না ; আই উইল লিখিত Voy