পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ywo-r ভাবত-আশ্রমে কেশবচলেজব কিমল সহবাস r Serviceএ তোমাদেব কলেজের ছেলে চাই, কাৰণ তাহাবা Hindus Law বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়।” তদনন্তৰ সৰ্বাধিকাৰী মহাশয় আসিয়া আমাদিগকে বি-এল পৰীক্ষা দিবাৰ নিমিত্ত উৎসাহিত কবেন ; এবং আমাৰ ভক্তিভাজন মাতুল মহাশয়ও সে বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ কৰেন। তদনুসাবে আমি ‘ল লেকচাব’ শুনিতে আবন্ত কবি। কিন্তু বি-এ পাশ ঋকিয়াই অন্যবিধ আকাঙ্ক্ষা আমাৰ হৃদয়ে আসিল । আমি কেশব বাবুব পদানুসৰণ কবিয়া ব্রাহ্মধর্ম্ম-প্রচাব-কার্য্যে আমার জীবন দিৰ, এই বাসনা হৃদয়ে উদয় হইল। গোপনে পত্র দ্বাবা কেশব বাবুকে এরূপ অভিপ্রায় জানাইলাম। তিনি আমাকে গোপনে বলিলেন, “তুমি আস্তে আস্তে ক্রমে আমাদেব সঙ্গে যোট, তাব পাব দেখা যাবে কি হয়” ; এবং আমি ১৮৭২ সালেব প্রাবস্তে এম-এ পাস কবিয়া “শাস্ত্রী” উপাধি পাইয়া কলেজ হইতে বাহিব হইবামাত্র, তাহাব নব-প্রতিষ্ঠিত মহিলা-বিদ্যালয়ে আমাকে শিক্ষকতা-কার্য্য দিয়া আশ্রমে সপরিবারে থাকিতে আদেশ কাবলেন। আমাব নামে বেতন ৰূপে যাহা দেওয়া হইত, তাহা প্রচাবকগণেব চিব পবিচাবিক শ্রদ্ধাস্পদ কান্তিচন্দ্র মিত্রেব হন্তে জমা হাতত, তিনি আমাব স্ত্রীপুত্রেবা ভবণপোষণ দেখিতেন ; তাহাব সহিত আমাৰ কোনও সংস্রব থাকিত না । বলা ৰাহুল্য, তখন প্রচাবকগণ সকলে ও তৎসঙ্গে আমি, সপবিবাবে ঘোৰ দাবিদ্র্যে বাস কবিতাম । • আমি কেশব বাবুব আশ্রমোৎসাহেব মধ্যে প্রাণমন ঢালিয়া দিয়াছিলাম। সে সময়ে আশ্রমেব আবির্ভাব সম্বন্ধে একটি কবিতা লিখি, তাহা বোধ হয় ধর্ম্মতত্বে প্রকাশিত হইয়াছিল। সে সময়ে কেশব বাবুব ও তাঙ্গাব পত্নীৰ যে সাধুতা ও ধর্ম্মনিষ্ঠা দেখিয়াছিলাম, তাহা জীবনে ভুলিযান্য নয়। প্রতিদিন দুপুরবেলা আশ্রমবাসিনী মহিলাদিগকে লইয়া স্কুল কিবা হইত। আমি ঐ দুলে পড়াইতাম। একদিন কেশব কাবু, তাহার পত্নীকে উদ্দেশ করিয়া আমাকে