পাতা:কৃষিতত্ত্ব - নীলকমল লাহিড়ী.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

di R8 কৃষিতত্ত্ব। শ্বেতবর্ণ। ইহার রস অধিক এবং সহজে মর্দন করা যায়। ইহারই অধিক আবাদ হয়। এতদ্ভিন্ন কাজলি, মুগি প্ৰভৃতি আরও অনেক প্রকার আছে। প্ৰায় সৰ্ব্বত্ৰেই ইহার আবাদ হয়। ফরিদপুর, রঙ্গপুর, প্ৰভৃতি জেলাতে অধিক জন্মে। এবং যে সকল স্থানে থিয়ার মৃত্তিক অধিক সে সকল স্থানে ও রাঢ়ে অধিক আবাদ হয়। পৌষ মাস হইতে ফাস্তুন মাস পৰ্য্যন্ত রোপণ এবং কৰ্ত্তনের সময়। অগ্রহায়ণ ও চৈত্র মাসেও ঐ কাৰ্য্য করা যায়, কিন্তু সুবিধা হয় না । ক্ষেত্রের চতুঃপার্শ্বে গভীর পগার করিয়া নূতন মৃত্তিক তুলিবে। এবং কোদালি দ্বারা সেই সকল মৃত্তিকার চাপ কাটিয়া সমুদয় ক্ষেত্রে ছড়াইবে। যথোপযুক্ত সারা দিয়া লাঙ্গল দ্বারা কর্ষণ করিয়া ক্ষেত্র সমতল করিতে হয়। চৈত্র মাস হইতে কাত্তিক মাস পৰ্য্যন্ত প্ৰতি মাসে ক্ষেত্রে দুই তিন বার চাষ দিয়া প্ৰতি মাসেই কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ সার দিবে। অগ্রহায়ণ মাস হইতে ক্ষেত্ৰ কৰ্ষণাদি করিয়া অধিক পরিমাণে সারা দিয়া উত্তমরূপ প্ৰস্তুত এবং সমতল করিয়া রোপণ করিতে হইবে। সামান্য কর্ষণে ইহা জন্মান যায় না। উত্তমরূপে অধিক বার চাষ করিতে হয় । ক্ষেত্রের মধ্যে দশবার হাত অন্তর অন্তর জোল কাটিয়া ক্ষেত্র খণ্ডে খণ্ডে বিভক্ত করিবে। বৃষ্টির জল হইলে গড়াইয়া অন্যত্র কি চতুঃপাশ্বের পগারে না যায় ক্ষেত্রে প্রবিষ্ট হয় অথবা এই জোলে পড়িয়া পরে ক্রমে ক্ষেত্রে প্রবিষ্ট হইতে পারে। এমত করিবে। জল গড়িয়া স্থানান্তরে গেলে সার ধৌত হইয়া যায় এবং উৎপাদিকা শক্তির হ্রাস হয়। দুই ফুট অন্তর এক এক শ্রেণি করিয়া রোপণ করা আবশ্যক। ঐ পরিমাণে এক এক শ্রেণির স্থান লাঙ্গল দ্বারা বিদারণ করিয়া তাহাতে রোপণ করিতে হয় । বীজের জন্য ইক্ষুর এক হস্ত পরিমাণ অগ্রভাগ অথবা তিন তিন গ্ৰন্থি যুক্ত এক এক খণ্ড ইক্ষু রোপণ করিতে হয়। লাঙ্গল দ্বারা বিদারিত স্থানে ঐ অগ্রভাগ অথবা খণ্ডীকৃত ইক্ষু সকল রোপণ করিবে। হেলাইয়া রোপণ করিতে হয়। অগ্রভাগ কিঞ্চিৎ মৃত্তিকার উপরে থাকিবে। অপর ভাগ মৃত্তিকার নীচে প্রোথিত করিবে।