পাতা:বাংলার পাখি - জগদানন্দ রায়.djvu/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b±” বাংলার পাখী কাকে উড়িয়া বাসার কাছে চীৎকার করে এবং সঙ্গে সুঙ্গে উড়ন্ত পোক-মাকড় ধরিয়া খায়। অন্য পাখীদের মতো ইহাৱা লতাপাতায় বা ঘাসের মধ্যে ‘পোকা খুজিয়া বেড়ায় না। উড়িতে উড়িতে এবং ডাকিতে ড়কিতে পোকা শিকার করা, বৃষ্টির সময়ে উড়িতে উড়িতে স্নান করা ও জল খাওয়াই ইহাদের স্বভাব। আবাবিলের বেশী গীত সত্যু করিতে পারে না। তাই যে-সব দেশে বেশী শীত, সেখান হইতে ইহারা শীতকালে গরম দেশে পালাইয়া যায়,-তার পরে গ্ৰীষ্মকাল আসিলে স্বদেশে ফিরিয়া যায়। আবাবিলদের ডম বড় মজার। ইহারা সাদা ও লালচে,-দুই রকমই ডিম পাড়ে। ডিমের উপরে কখনো কখনো গাঢ় লালের ছিটা-কেঁটাও দেখা যায়। আমরা এখানে কেবল এক রকম আবাবিলের কথা বলিলাম ভারতবর্ষে প্ৰায় কুড়ি জাতের আবাবিল দেখা যায় ৷ নকুটি নামে এক রকম ছোটো আবাবিল নদীর ধারে প্রায়ই ঘুরিয়া বেড়ায়। ইহারা আকারে চড়ুই পাখীদের চেয়েও ছোটো। রঙ, খয়েরি। ইহাদিগকে লোকের বাড়ীতে আসিয়া বাসা করিতে দেখা যায় না। তোমরা বোধ করি এই পাখীদের দেখ নাই। উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে বেড়াইতে গিয়া আমরা নদীর ধারে নকুটি পাখী অনেক দেখিয়াছি।