পাতা:আত্মচরিত (শিবনাথ শাস্ত্রী).pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম পরিচ্ছেদ 8 করিতে করিতে আসিতেছে ; সঙ্গে গরু নাই। আসিয়া আমাদের মুখের দিকে চাহিয়া চীৎকার করে, একটু দৌড়িয়া যায়, আবার দাঁড়ায়, আবার নিকটে চুটিয়া আসে, মুখের দিকে চায়, ডাকে, আবার দৌড়িয়া যায়, আবার দাড়ায়। শেষে বাবা বুঝিলেন যে আমাদিগকে সঙ্গে যাইতে বলতেছে। তখন আমাদের দুইজন বালককে সঙ্গে যাইতে আদেশ করিলেন। আমরা সঙ্গে গিয়া দেখি একজনেরা আমাদের গরু বধিয়া রাখিয়াছে। তাহারা শেয়ালথাকীকে দেখিয়া বলিতে লাগিল“ওরে কুকুরটা আবার এসেছে ; নিজে মার খেয়ে গিয়ে বাড়ীর লোক Cyks AoCS ” এই শেয়ালথাকীর ন্যায় আরও অনেকবার অনেক কুকুর পুষিয়াছি। সে সময়কার আর-একটা অদ্ভুত কথা আছে। অনুমান চারি-পাঁচ বৎসর বয়সের সময় আমি কোন মতেই ঠাকুরদের নিবেদিত অল্প আহার করিতে চাহিতাম না। ব্রাহ্মণ-পণ্ডিতের বাটীতে এটা একটা ভয়ানক কথা। কে যে আমার মাথাতে এ সংকল্প ঢুকাইয়া দিয়াছিল, তাহা বলিতে পারি না । কিন্তু বেশ মনে আছে যে প্রায় প্রতিদিন আমার ভাত খাওয়া লাইয়া একটা মহাবিভ্রাট উপস্থিত হইত। আমাদের বাড়ীতে শালগ্রাম শিব পঞ্চানন প্রভৃতি অনেক পৈতৃক ঠাকুর ছিলেন। প্রতিদিন • অন্ন ব্যঞ্জন তাহদের অগ্রে নিবেদন না করিয়া কাহারও আহার করিবার অধিকার ছিল না। আমারও ধনুর্ভঙ্গ পণ ছিল ঠাকুরদের নিবেদিত অল্প আহার করিব না। এজন্য বাবার ও মার হাতে গুরুতর প্রহরী সহ করিতাম, তবুও নিজের জেদ ছাড়িতাম না। অবশেষে নিরুপায় দেখিয়া এই নিয়ম করা হইয়াছিল, যে, আমার অন্নগুলি স্বতন্ত্র রাখিয়া, অপর অল্প ঠাকুরদের নিবেদন করা হইত। কিন্তু আমার পিতামাতার প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস ও নির্ভর থাকিত না । অধিকাংশ সময় ঠাকুরদের নিবেদনের পুর্বে