পাতা:আত্মচরিত (শিবনাথ শাস্ত্রী).pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম পরিচ্ছেদ WNO) তুলিয়া লইলাম। তখন মাছি লইয়া সকলে গর্ভের দিকে দৌড়িল। ইহারা ফিরিতেছে, তখন অপরের আসিতেছে, পথে মুখামুখী করিয়া কি সঙ্কেত করিল, যে, যাহারা আসিতেছিল। তাহারাও ফিরিল। আমি মনে করিতাম, ইহারা নিশ্চয় কথা কয়। তখন মাটীর নিকটে কান পাতিয়া রঙ্গিলাম, তাহদের শব্দ শোনা যায় কি না ? কান পাতিয়া আছি, তখন কেহ শব্দ করিলে বারণ করিতাম, চুপ কর, চুপ কর, পীপড়ের কি বলছে শুনি। ইহা দেখিয়া বাড়ীর লোকেরা হাসাহাসি করিতেন। aछे वाांचांब्र (eोंब जकजांई घड । তৎপরে, পাখী ধরিবার ও পুষিবার জন্য অতিশয় উৎসাহ ছিল। পাখীর বাসা হইতে বাচ্চা চুরি করিয়া আনিতাম, আনিয়া তার মায়ের মত যত্নে তাহাকে পালন করিতাম। সে-জাতীয় পাখীরা কি খায়, তাদের মায়েরা কিরূপে খাওয়ায়, এ-সকল সংবাদ পাড়ার ডাংপিটে ছেলেদের কাছে পাইতাম, সেইরূপ করিয়া দিনের মধ্যে দশবার করিয়া খাওয়াইতাম। হাড়ির গায়ে ছিদ্র করিয়া, তার মধ্যে কুটিকাট দিয়া বাসা বাধিয়া তার মধ্যে বাচ্ছা রাখিতাম । রাখিয়া একখানি। সারা দিয়া ঢাকিয়া হাড়িটি ঘরের চালে ঝুলাইয়া রাখিতাম, পাছে সাপে খাইয়া যায়। তারপর খেজুর গাছের ডাল কাটিয়া, অগ্রভাগের পাতাগুলি চিরিয়া খ্যাংরার মত করিতাম ; তাহাকে বলে ছাট। সেই ছাটি হাতে করিয়া মাঠে মাঠে ঘাস-বনে ফড়িং ধরিতে যাইতাম। ঘাসের উপর ছাটগাছি বুলাইলেই ফড়িং লাফাইয়া উঠিত। আমনি সেই ছাট সজোরে তার পৃষ্ঠদেশে মারিয়া তাহাকে অৰ্দ্ধমৃতপ্রায় করিতাম। সেই অচৈতন্য অবস্থাতে তাহাকে এক ধাঁশের কেঁড়ের মধ্যে পুরিতাম। gBB DD BB DB DB S BD D DD rDB খাওয়াইতাম। পাখীর বাচ্ছা পোষা প্রায় বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ মাসে হইত। V)