পাতা:আত্মচরিত (শিবনাথ শাস্ত্রী).pdf/২৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

叫国°fc喝而 Sev হইয়া দিবেন, ঐ বুলিতে দিতে বলিবে। Beg not, borrow not, refuse not, অর্থাৎ ভিক্ষা করিবে না, ঋণ করিবে না, দিলে ফিরাইবে না। এই তিনটী কথা একখান কাগজে লিখিয়া ঐ বুলিতে মারিয়া দিলাম, বলিয়া দিলাম। এই ভাবেই কাজ করিবে। এই ভাবেই আমরা মুলতান হইয়া সিন্ধুদেশের অভিমুখে যাত্রা করিলাম। এই মুলতান-বাসকালের একটী স্মরণীয় ঘটনা আছে। আমরা মুলতানে গিয়া দেখিলাম যে কয়েকটি বাঙ্গালী পরিবার কর্ম্মোপলক্ষে সেখানে বাস করিতেছেন। তদ্ভিন্ন পাঞ্জাৰীদিগের মধ্যে কতকগুলি শিক্ষিত লোক একটী ব্রাহ্মসমাজ করিয়াছেন। ঐ সমাজে শিক্ষিত বাঙ্গালীদিগের কেহ কেহ যোগ দিয়া থাকেন। আমরা সেখানে পৌছিলে বাঙ্গালী ও পাঞ্জাৰী সকলে মহা উৎসাহে আমাদিগকে অভ্যর্থনা করিয়া লইলেন। যতদূর স্মরণ হয়। আমি একজন বাঙ্গালী ভদ্রলোকের গৃহে রহিলাম ; লালসিংহ ও তৎসন্নিকটে এক পাঞ্জাৰী বন্ধুর গৃহে রহিলেন। বাঙ্গালী বন্ধুটীর গৃহে আমার আদরের সীমা পরিসীমা রঙ্গিল না। তাহার পত্নী যে কেবল ভঙ্গীর ন্যায় আমার পরিচর্য্যায় রত হইলেন তাহা নহে ; আহার করিতে গেলেই দেখিতে পাইতাম, অপরাপর বাঙ্গালী বাড়ী হইতেও নানাপ্রকার তরকারী ও মিষ্টায় আসিয়াছে। সকল বাড়ীর মেয়ের কোমর বঁাধিয়া আমার সেবায় লাগিয়া গেলেন। মহোৎসাহে বক্তৃতা, উপাসনা, আলোচনা প্রভৃতি চলিল। এদিকে পাঞ্জাৰী ও বাঙ্গালী বন্ধুর লালসিংকে জিজ্ঞাসা করিতে লাগিলেন, “তোমাদের খরচপত্র কিরূপে চলছে? যাবার খরচ আছে তা ? লালসিং আমার আদেশ অনুসারে বলিতে লাগিলেন,-“আমাদের আর্থিক অবস্থা জানাতে নিষেধ। কেহ কিছু দিতে ইচ্ছা করেন, দিতে পারেন।” পরে যেদিন যাবার দিন আসিল, আমরা ষ্টেশন অভিমুখে চলিলাম।