পাতা:আত্মচরিত (শিবনাথ শাস্ত্রী).pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ Gy দের মাথার উপরে পড়িয়া গেল। তখন আমরা ভাবিলাম যে, এরূপে ঘরচাপা পড়িয়া মরা অপেক্ষা বাহিরের উঠানে বসিয়া ঝড় খাওয়া ভাল। এই ভাবিয়া বাহিরে যাইতেছি, এমন সময় গৃহের ভিতর হইতে এক বুদ্ধা রমণীর কণ্ঠস্বর শোনা গেল, “বাবা ! তোমরা কোথায় যাও, এত লোকের যদি জায়গা হয়ে থাকে, তোমাদের দুজনেরও হবে।” তখন আমরা বাধ্য হইয়া গৃহের ভিতরে প্রবেশ করিলাম। প্রবেশ করিয়া স্ত্রীলোক বালক-বালিকার ক্রন্দনের ধ্বনি শুনিয়া মনে হইতে লাগিল, সেখানে না। ঢুকিলেই ভাল ছিল। ক্রমে বেলা অবসান হইল। অপরাঙ্ক চারিটার পর ঝড়ের বেগ কিমিয়া আসিতে লাগিল। গ্রামস্থ যাহারা সেই গৃহে আশ্রয় লইয়াছিল তাহারা “বাবারে, মারে” করিতে করিতে স্বীয় স্বীয় ভবনের উদ্দেশে যাত্রা করিল। আমাদের শালতির চালক দুইজন আমাদের বিছানা ও কিছু কিছু জিনিষ পত্র মাথায় করিয়া আসিয়া উপস্থিত হইল। বলিল, শালতি খাল হইতে লইয়া এক পুকুরের ধারে বঁাধিয়া রাখিয়াছিল, দড়ি ছিড়িয়া পুকুরের মধ্যে ডুবিয়া গিয়াছে। তখন আর উদ্ধার করিবার সময় নাই। সন্ধ্যা সমাগত প্রায় । তাহাদিগকে সেই ভাঙ্গা দাবাতে কোনও প্রকারে রাত্রিযাপন করিতে বলিয়া আমরা সেই দরিদ্র ব্রাহ্মণের ভাঙ্গা ঘরে রাত্রিযাপন করিবার জন্য প্রস্তুত হইলাম। তাহারা পোদ নামক হীনজাতীয় লোকের বাহ্মণ । ক্রমে সন্ধা সমাগত হইল। সেই গৃহের বৃদ্ধ-বৃদ্ধর বীরপ্রকৃতি-সম্পন্ন 0BDD TD DBBD BBB DBBBLS LBLDDLDDDD LDBBB SK DDD DDBD আসিয়া ঘরের মধ্যে পড়িল। পিতা মাতা ব্যাকুল হইয়া অনুরোধ করিতে লাগিল, “ওরে তুই মুখ হাত ধুয়ে ওই চৌকীর নীচে তোর ভাত আছে খা ।” তখন আমরা সেই ঘরে নয়জন,-আমরা বিদেশীয়