পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 R শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ২২শ পরিঃ সময়ে দেখিলাম, আচার্য্য কেশবচন্দ্র সেন মহাশয় হাসিতে হাসিতে আসিতেছেন। এরূপে মৃতব্যক্তির স্বপ্ন আমি প্রায় দেখি না ; কেন জানি না, আমার পরমাত্মীয়াদিগকেও স্বপ্নে দেখি না। কিন্তু এবারে আচার্য্য কেশবচন্দ্রকে দেখিলাম। তিনি হাসিয়া বলিলেন, “দেখ, পৃথিবীতে থাকতে কত ভুল করা যায়, পরস্পরকে চিনতে পারা যায় না। যা হোক, जूमि qन, cडांभांकि ब्रांभाभांश्न ब्रांवित्र कांटछ नित्व बारे।” आर्भि যেমন উঠিব, অমনি ঘুম ভাঙ্গিয়া গেল, চেতনা হইল। আশ্চর্য্যের বিষয়, তৎপরে দুই তিন দিন জাগ্রত অবস্থাতেও সেই মহারোল ও অমরদিগের গাথা শুনিতে লাগিলাম । তৃতীয় ঘটনাটীও আশ্চর্য্য, ইহা পরে শুনিয়াছি। আমি যখন কোকানদাতে শয্যায় পড়িয়া মা মা করিয়া এপাশ ও পাশ করিতেছিলাম, তখন না-কি আমার মাতাঠাকুরাণী গ্রামের বাড়ীতে পিতাঠাকুর মহাশয়কে অস্থির করিয়া তুলিলেন, “তুমি কলকাতাতে যাও, ও তার খবর আন । আমার মন কেন অস্থির হচ্চে ?” বাবা রাগ করিয়া সহরে আসিলেন ; আসিয়া গুরুচরণ মহলানবিশ মহাশয়ের নিকট গিয়া শুনিলেন, আমার গুরুতর পীড়া । যাহা হউক, আমার গুরুতর পীড়ার কথা শুনিয়া কলিকাতার বন্ধুগণ। ডাক্তার বিপিনবিহারী সরকার ( আমার বর্তমান জামাত ), সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের তৎকালীন সহকারী সম্পাদক শশিভূষণ বসু, “আমার দ্বিতীয়া পত্নী বিরাজমোহিনী, ও আমার জ্যেষ্ঠা কন্যা হেমলতা, এই চারিজনকে কোকানদাতে প্রেরণ করিলেন। তঁহার গিয়া , চিকিৎসা ও সেবা শুশ্রষা দ্বারা আমাকে সুস্থ করিয়া তুলিলেন। ২০শে ডিসেম্বর আমার জারত্যাগ হইল, ও ২৬শে ডিসেম্বর আমি তাঁহাদের সঙ্গে কলিকাতা অভিমুখে প্রত্যাবর্ত্তন করিলাম।