পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঠাকুরপজা ত্যাগ। বল ও আশা পাইয়া আমি নিজ বিশ্ববাস অনসারে ঢািলবার জন্য প্রতিজ্ঞার দ্য হইলাম। এইবার আমার কঠিন সংগ্রাম আসিল। ইহার পড়বে গ্রীষ্মের ছুটিতে বা পজার বন্ধে বাড়িতে গেলেই আমাকে ঠাকুর পজা করিতে হইত। - আমাদের কুলক্রমাগত কতকগলি ঠাকুর ছিল। বাবা সচরাচর তাহদের পজা। করিতেন। আমি বাড়িতে গেলে তিনি সেই কাব্যভার আমার উপর দিয়া অপরাপর গহকায করিবার জন্য অবসর লাইতেন। ষেবারে আমার হদয় পরিবতন হইয়া আমি বাড়িতে গেলাম, সেবার প্রতিজ্ঞা করিয়া গেলাম যে আর ঠাকুর পজা করিব। না। গিয়াই মাকে সে সঙ্কল্প জানাইলাম। মা ভয়ে অবশ্য হইয়া পড়িলেন। বঝিলেন, . একটা মহা সংগ্রাম আসিতেছে। আমাকে অনেক বঝাইলেন, অনেক অনরোধ করিলেন। আমি কোনো মতেই প্রস্তুত হইতে পারিলাম না। “ধমে প্রবণশুনা রাখিতে পারিব না” বলিয়া করযোড়ে মাজােনা ভিক্ষা করিলাম। অবশেষে সেই সঙ্কলপি যখন বাবার গোচর করা হইল, তখন আথেনয়গিরির অন্যাগমনের ন্যায়। তাঁহার ক্রোধানি জৰলিয়া উঠিল। তিনি কুপিত হইয়া আমাকে আসিলেন। আমি ধীর ভাবে বলিলাম, “কেন ব্যথা আমাকে প্রহার করিবেন ? আমি অকাতরে আপনার প্রহার সহ্য করিব। আমার দেহ হইতে এক-একখানা হাড় খলিয়া লাইলেও আর আমাকে ওখানে লাইতে পরিবেন না।” এই কথা শনিয়া ও আমার দঢ়তা দেখিয়া তিনি হঠাৎ দাঁড়াইয়া গেলেন, এবং প্রায় অধ্যাঘণ্টা কাল কুপিত ফণীর ন্যায় ফলিতে লাগিলেন। অবশেষে আমাকে পাজার কাজ হইতে নিম্প্রকৃতি দিয়া নিজে পাজা कब्रिड बनवान् । সেইদিন হইতে আমার মতি পজা রহিত হইল। আমি সত্যস্বরপের উপাসক হইলাম। কিন্তু আমাদের পারিবারিক আন্দোলন গ্রামবাসী আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে ব্যাপ্ত হইয়া পড়িল। আমাকে সকলেই নিযাতন করিতে দঢ়প্রতিজ্ঞ হইলেন। তৎপরে বাবা আমাকে গ্রামসস্থ ব্রাহমাদিগের সহিত মিশিতে নিষেধ করিতে লাগিলেন। আমি অন্য সময়ে মিশিতাম না, কিন্তু যেদিন তাঁহারা সকলে উপাসনা করিবেন বলিয়া সংবাদ দিতেন, সেদিন বাবা গাত্রোখান করিবার পাবেই গিয়া উপাসনাতে যোগ দিতাম, আসিয়া তিরস্কার ও গঞ্জনা সহ্য করিতাম। তখন কেহ ব্রহে মাপাসনা করিবে: কািল চারি পাঁচ মাইল হাঁটিয়া গিয়া যােগ দেওয়া আমার পক্ষে কিছুই কষ্টকর int || অথচ এই সময়ে গ্রামের কতিপয় ব্রাহিম, ভবানীপরের দই-চারিজন ব্রাহিম, ও বিজয় অঘোর ভিন্ন আর কোনো ব্রাহের সহিত আমার আত্মীয়তা ছিল না। কাহারও সঙ্গে মিশিতাম না, লজাতে কাহারও সহিত আলাপ করিতে চাহিতাম না। শাঁখারীটোলার জগৎবাব। ১৮৬৭ সালের শেষ ভাগে আমি ভবানীপরের চৌধরিী মহাশয়দিগের বাটী হইতে ঐ স্থানের একটি ভদ্রপরিবারের অন্যারোধে তাঁহাদের সহিত কলিকাতা শাঁখারীটোলাতে এক বাড়িতে আসিয়া বাস করিতে লাগিলাম। তাহার ইতিবত্ত এই। জগচ্চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় নামে একটি ভদ্রলোক ভবানীপরে বাস করিতেন। মহিমা নামে তাঁহার একটি ছেলে সংস্কৃত কলেজে পড়িত ও আমাদের সঙ্গে একগাড়িতে কলেজে যাইত। সেই সত্রে জগৎবাবার সহিত আমার পরিচয় । হয়। জগৎবাবার সাধিতা সদাশয়তা সৌজন্য দেখিয়া তাঁহার প্রতি আমার ভক্তি শ্রদ্ধা AS