পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VSO9O শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ১৬শ পরিঃ ফিরাইলেন। বিরাজমোহিনীকে তিনি বড় ভালবাসিতেন ; বিরাজমোহিনী যখন তাহার পদধূলি লইয়া তাহার শব্যাপার্শ্বে বসিলেন, তখন বাবা তঁহার মুখেব দিকে চাহিয়া কঁদিতে লাগিলেন। আমি ডাক্তার বন্ধুকে বাবাকে দেখিয়া পার্থের ঘরে আসিবার জন্য অনুরোধ করিয়া সেই ঘরে গেলাম। তিনি আসিয়া বলিলেন যে নাড়ী আবার পাওয়া যাইতেছে। আমি জগদীশ্বরকে ধন্যবাদ করিলাম। ইহার পরে আমি আমার জননীর দ্বারা বাবাকে আমার সঙ্গে কথা কহিবার জন্য অনুরোধ করিতে লাগিলাম। বলিলাম, “আমাকে রোগের বিষয়ে বিশেষ বিবরণ না বলিলে আমি কিৰূপে ডাক্তারকে বুঝাইয়া দিব ?” তাই বুঝিলেন বলিয়াই হউক, বা তাঙ্গার যে-দিন পীড়া হইয়াছে তৎপরদিনেই কিরূপে আসিলাম, এই ভাবিয়াই হাউক, আমার উপবীত পরিত্যাগের আঠার উনিশ বছরের পরে বাবা আমার মখ দেখিলেন ও আমার সঙ্গে কথা কহিলেন । এত যে গুরুতর পীড়া, তাঙ্গাতে বাবাকে কিছুমাত্র স্নান বা বিষন্ন মনে হইত না। ডাক্তার হাত দেখিয়া বলিতেছেন, “নাড়ী পাওয়া যাচ্চে” ; বাবা হাসিয়া বলিতেছেন, “আনাড়ীর আবার নাড়ী ।” মা কঁদিতেছেন, বাবা তঁাতার দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া আমাকে বলিতেছেন, “কেমন অজ্ঞ, দেখেছি ? যাব জন্য কাশীতে আসা, তাই ঘটবার উপক্রম ; কোথায় আমোদ করবে, না, কান্না ! কাশীতে কিছু বিষয়-বাণিজ্য করতে আসি নি ; মরুতে এসেছি, সেই মরণ এসে উপস্থিত, তাতে আবার শোক কেন ?” আমি বলিলাম, “বাবা! আপনি ত সহজ কথাগুলো বললেন, মারা প্রাণ তা শুনবে কেন ?” বাবা বলিলেন, “তবে ওঁর এখানে আসা উচিত হয় নি।” তার”. পর শোনা গেল যে কচি তালের জল দিলে হিক্কা থামিতে পারে। কচি তাল BS KLD DS DDD BDD DS DD DBD DBBD S SBBD প্রাতে আমার একজন বন্ধু তাহাকে দেখিতে আসিলেন। বাবা হাসিয়া