পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nd vee Ges এবারের এই বার তেরশ” কোপন দুৰ্ব্বাসার বৈঠকে সরকারী তরফ হইতে শান্তিরক্ষার জন্য যে পুলিশ মোতায়েন ছিল তাহদের মাথা ছিলেন একজন আইরিশ। এক এক জন নেতা হুড় মুড় দুড় দুড় শব্দে প্ৰাণপক্ষী হাতে করিয়া বাহির হন, আর গাড়ি-বন্দী করিয়া কনষ্টেবল ঘিরিয়া পুলিশ সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট তাহাকে চালান দেন। প্রথমটা কেহ কিছু বুঝিতে পারিল না, রব উঠিল, “তিলক গ্রেপ্তার হইয়াছেন।” তাহার পূর্বদিন রাত্রে যখন তিলক আদি নেতৃবৃন্দ বসিয়া পরামর্শ করিতেছিলেন, তখন ব্যস্ত ব্যগ্র উদ্বিগ্ন ভাবে লাজপৎ আসিয়া খবর দিলেন “সরে পড়, সরে পড়, তোমরা গ্রেপ্তার হবে ।” তিলক হাসিয়া বলিলেন, “তাই তো চাই, ভয় কি ?” লাজপৎ সবে তখন দেশান্তরী দশা হইতে মুক্তি পাইয়াছেন। তার বেশ একটু ভীত অবস্থা । প্ৰথম দিন পথে পথে সত্যেন্দ্ৰ একদল ছেলে লইয়া রাজভক্তিসূচক উক্তিওয়ালা মঞ্চে সন্তৰ্পণে আগুন ধরাইয়া ফিরিতেছিল। হঠাৎ লজপতের গাড়ি দেখিয়া সকলে “বন্দেমাতরম" ধ্বনি করিয়া ওঠে ; তাহাতে গাড়ি থামাইয়া লাজপৎ রক্তচক্ষে বলেন, “চোপ রও।” প্ৰথম দিন কংগ্রেস-মণ্ডপে লপজৎ একরকম লুকাইয়াই গা ঢাকা দিয়া ঢুকিতেছিলেন, ভীম রবে বন্দেমাতরম জয়ধ্বনি উঠিল। সর্দার অজিত সিং সম্মুখে দাড়াইয়া সহাস্য বদনে নত মস্তকে তাহা গ্ৰহণ করিলেন। কিন্তু লাজপৎ লুকাইয়া পিছনে বসিলেন। সেও একদিন গিয়াছে, যখন লাজপৎ সাবধানী, গান্ধীজী মডারেট । শেষে ভারতের