পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰথম দফা ভূতের কীৰ্ত্তন SS নাথ ছিলেন, ভূপেন্দ্রনাথ, আশু চৌধুরী, অম্বিকাপ্ৰসাদ মজুমদার ছিলেন, আরো যে কত জন ছিলেন-“অযুত ভকত গোরার নাম নিব কত ?” এদিকে গরম দলেরও ছিলেন অরবিন্দ, মতিলাল, অশ্বিনী দত্ত, শ্যামসুন্দর আদি রখীর দল। এই দুই দলের মধ্যে নরম দল ধাপ্লা দিয়া বুঝাইয়া সুঝাইয়া কোন গতিকে নিজের মত, বিনা পণে বজায় রাখিতে ব্যগ্র ও গরম দল উদাসীন। নরম দল তখনও বুঝেন নাই যে, ইহাদিগকে উদীরস্থ করিয়া মিলন তাহা আর হইবার নয় । যখন সকলে জুটিয়াছেন তখন হঠাৎ সুরেন্দ্ৰনাথ ভিন্ন কক্ষ হইতে Gir Stf3 f5 7ffigia, “Az, Scandalous, shannefull ! Isn’t it ! এসো, এসে সব মিটমাট করে ফেলো। আমরা বাঙলা একত্র থাকলে ওরা করবে কি ?” অনেক বাকবিতণ্ডা করিয়া ও যুক্তি তর্ক অনুনয় বিনয়ের পালা গাহিয়াও কিন্তু আসর আর জমিল না । সুরেন্দ্ৰনাথের আদেশে অম্বিকাবাবু একটা কাগজে কি মিলনসূচক অঙ্গীকার লিখিয়া সকলকে দস্তখৎ করাইতে সকলের কাছে ঘুরিতে লাগিলেন। তাহা পড়িয়া এ বলে “ওঁকে দেখান” ও বলে “উনি যদি সই করেন, দেখুন গে” ইত্যাদি। সেইখানে মেদিনীপুরের সত্যেন্দ্ৰনাথ বসু, আমার মত কয়েকজন গুপ্তচক্ৰী যুবকের সহিত, মজা দেখিয়া দেখিয়া পায়চারী করিতেছিল, এ সেই সত্যেন্দ্ৰ, যে পরে আলিপুর মোকদ্দমায় কানাইলালের সহিত রাজার সাক্ষী নরেন গোঁসাইকে গুলি করিয়া ফাসী যায়। অম্বিকাবাবু কাছে আসিতেই সে বলিল, “দেখি মশাই, আমায় দিন, আমি সই করছি।” যাহাতক তাহার হাতে দেওয়া, তাহাতক ছিড়িয়া তাল পাকাইয়া কাগজখানি হাতে হাতে উধাও। আম্বিকাবাবু সুরেন্দ্ৰনাথের কাছে গিয়া পাকা দাড়ী নাড়িয়া উগ্ৰচণ্ডারূপে নালিশ জুড়িয়া দিলেন। ফলে মিলন-উৎসব ভাঙ্গিয়া গেল। যখন সে বাটী হইতে অরবিন্দের পশ্চাতে আমরা বাহির হইতেছি, তখন একজন হোমরাচোমরা খুব বড় মদরৎ-নেতা হাত নাড়িয়া বলিতেছেন, “অরবিন্দ ঘোষ,