পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS TessfèRat=rres 2ass sss esfSMS সেজদার পত্রগুলি পাইবার আগে পৰ্য্যন্ত ভক্তির প্রবাহই চলিতেছিল। নিজের অঙ্গে চতুভূজার ভাব ফুৰ্ত্তি হইত, দেখিতাম আমি হুবহু এক দিব্য জ্যোতিৰ্ম্ময়ী নারী, আপন মহতী শক্তি ও আনন্দে ভরপুর হইয়া চলিতেছি, ফিরিতেছি । অন্য মানুষেও দেবীভাব দর্শন করিতাম, ধ্যানে নানা স্তরের আনন্দ আসিয়া তরঙ্গে তরঙ্গে আমায় মগ্ন রুদ্ধশ্বাস করিয়া দিত। কোনটি প্ৰেমানন্দ, কোনটি প্ৰাণের স্তরের অশুদ্ধ আনন্দ, কোনটি উহাপেক্ষা কতক শান্ত অহেতুক আনন্দ, আবার কতকগুলি দাস্য সখ্য বাৎসল্য মধুর ভাব যোগে আনন্দ। ভক্তি পথের অনেক কিছুই হইল, চেতন সমাধিও দুই একবার হইল, স্বেচ্ছা মৃত্যুর শক্তি কামনা করিয়া এমন সামৰ্থ্য হইল যে, প্ৰাণ-তরঙ্গ পদতল হইতে গুটিাইয়া গুটিাইয়া হৃদয়ে আসিয়া লীন হইত, সংজ্ঞা ফিরিলে যখন জাগিতাম তখন দেহ কিছুক্ষণ হিম ও গুরুভার ও পাথরের মত আড়ষ্ট হইয়া থাকিত । সেজদা তার সাতটি পত্রে আমায় বুঝাইবার প্রয়াস করিলেন যে, আমার ক্রিয়া সাধনার অবস্থা শেষ হইয়াছে, এখন সৰ্ব্ব ধৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়া ভগবদ সমৰ্পিত না হইলে আর উন্নতি হইবে না। আমি সেই সাতটি পত্রের উত্তরে তঁাহার সহিত কত তর্কই না করিলাম, সাধনা তখন আমার এক সাধের সংসার, তাহার গৰ্ব্ব ও মোহ আমায় পাইয়া বসিয়াছে। তখন আমার সে বুদ্ধি-সে। উপরের জ্ঞান নাই যাহা দিয়া বুঝিব যে, দু’দশটা সাধনা পাইলেই পরমপুরুষাৰ্থ হয় না ;