পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(8 বারীজের আত্মকাহিনী এই ভাবিয়া যে, এ অভাগা দেশে আজ আমার এমন আরব্য উপন্যাসের পালা শুনিবার একঘর শ্ৰোতাও জুটিল না রে । একে একে আমরা আপনার মাথা আইনের হাড়িকাঠে আপনি রাখিয়া স্বহস্তে কাটিলাম ; এই ছিন্নমস্তাইপালার পর প্রায় সন্ধ্যার মুখে যাত্রা করিলাম শ্বশুরালয়ের রাজকীয় সংস্করণ আলিপুর জেল অভিমুখে। এত কাণ্ডের পর তখন প্ৰাণটা একটু দমিয়া যাইবার হুকুম চাহিল, বলিল, “এ পালার সবটা ভাল, এইটা ছাড়া।” ধরা পড়ার চেয়ে যে দাড়াইয়া মরা কত সহজ, তাহা ভাবিয়া একটা দীর্ঘশ্বাস বেশ দীর্ঘ রকমেরই পড়িল। কিন্তু জেলখানার বিরাট ফটক দেখিয়া আমার ফেরারী সাহস আবার ফিরিল। ভাবিলাম, “প্ৰহসনটা শেষ অবধি দেখিয়া মরিতে ক্ষতি কি ? আজি আমিই না হয় এর গোড়ী, প্ৰথম বলি ; একদিন তো সবার ভাগ্যেই এই দড়ি, এই খোঁটা, এই ঘাসজল আর তাহার পর অস্তিমে শ্ৰীদুৰ্গা বলিয়া বুলিয়া পড়াই আছে । দেখাই যাক না কোথাকার জল কোথায় গড়ায় ।”