পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S O ਵ6ਟਵ ਕੁਲ ਫ “দ্বীপান্তরের কথা”য় ও এই লেখায় অনেক স্থানে কথা প্রসঙ্গে আমার সাধনার কথা কিছু কিছু ইঙ্গিতে বলিয়াছি । ১৯০৮ সালের আরম্ভ হইতে এই দীর্ঘ ১৩ বৎসরের সাধনা ও অনুভূতির কথা বলিতে গেলে তাহা আর একখানি বই হইয়া দাড়াইবে। তাহা তেমন করিয়া প্ৰকাশ করিয়া বলার এখনও সময় আসে নাই, কারণ এখনও আমি সে অপরূপ রূপ মানুষ হই নাই, যাহার নিত্য বসতি আনন্দ নগরে । তবে মোটামুটি সাধনার গতি ও ক্ৰম-পরিণতির একটা আভাস দুই কারণে দেওয়া দরকার; প্রথমতঃ এই কথা বুঝাইবার জন্য যে কি সম্বল লইয়া এত দুঃখের এতখানি পথ চলিয়াছি, আর দ্বিতীয়তঃ আমার বন্ধু-বান্ধব ও দেশবাসীর কাছে প্ৰকাশ করিয়া বলিবার জন্য যে আমরা এই মরা দেশে অগ্নিকুল ক্ষত্ৰিয়ের জন্ম দিয়া সে শক্তিপূজার পথ ছাড়িয়া আবার কোন পথ ধরিলাম এবং কেনই বা তাহা थब्रिव्लाभ । লেলের নিকট কি করিয়া সাধন লাভ হয় তাহা বলিয়া চুকিয়াছি। বাহিরে থাকিতে মাত্র দুই একটি অনুভূতি দিয়া সাধনা আরম্ভ হয়। নরেন্দ্র মারা যাইবার পর নির্জন কারাবাসে আমার মন প্ৰথম সবদিক হইতে ফিরিয়া ভগবানের পথ ধরিল। তখন মৃত্যু কেশাগ্ৰ ধরিয়া আছে, জীবনের সাধ আকাজক্ষা কাল-পুরুষের প্রচণ্ড আঘাতে নিৰ্ম্মলপ্ৰায় হইয়াছে, জীবন-গঙ্গার কোন দিকেই কুল নাই, সুরম্য তাঁট বসতি ও বনানি শোভা নাই। আছে হয় মৃত্যু, নয়। সারা জীবন