পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R বারীদ্রের আত্মকাহিনী মহান ও বৃহৎ করিয়া গড়িবার মাল মসলার আশায় সাধু খুজিতে বাহির হইলাম অনেক প্ৰকার বাতিকের সহিত ধৰ্ম্মের বাতিকও আমাদের পরিবারের একটা পারিবারিক ব্যাধি। আমার মাতামহ শ্ৰী রাজনারায়ণ বসু ঋষি-রাজনারায়ণ নামে পরিচিত ছিলেন ; দেওঘরে শিক্ষিত বাঙালীর মধ্যে র্যাহারা তীৰ্থ দর্শনে যাইতেন, তাহারা বাবা বৈদ্যনাথ দর্শন করিয়া এই জীবন্ত বুড়াশিবকে একবার দর্শন না করিয়া ফিরিতেন না । বার বৎসর বয়স হইতে আঠার বৎসর বয়স অবধি, ছয় বৎসর কাল এই সাধকের সঙ্গ দিবানিশি পাইয়া, আমার অজ্ঞাতেই আমার জীবনের গতি কবে না জানি ফিরিয়া গিয়াছিল। সেই আমার কৈশোরে কবে এক দিন শ্ৰীইন্দুভূষণ রায় তাহার বীণাখনি আর তাহারি রচিত গানের বই “রসলীলা” লইয়া দেওঘরে আমাদের বাড়ীতে আসেন। র্তার সেই অদ্বৈত প্রেমের উপমাহীন গানে অত ছেলে-বেলায়ও আমায় পাগল করিয়া দিয়াছিল “বঁধুয়া রে ছেড়া ন্যাকড়ার পুটুলী তুই মোর তোরে বুকে করি আমি পাগলিনী তোর। তোরে বুকে করি যাই যথায় তথায় টলে না পাগল মন কোন ভাবনায় রে । হাট বাট মাঠ ঘাট তরুতল পাই তোর বুকে মাথা রেখে নিশ্চিন্তে ঘুমাই রে । কেড়ে নিতে চায় কেহ ফেলে দিতে বলে পাগলী বঁচিবে কেন ও-ধন না হলে রে ।” এই সব গানের অনন্তমুখী তান এখনও মনের যন্ত্রে জীবন ভরিয়া বাজিতেছে। তখন তাই অত রাজসিক কৰ্ম্মের হট্টগোলেও জীবনের এই নিভৃত সুরটুকু ডুবিয়া যায় নাই। জীবন আমাদের ভগবদ্যুমুখী হইবার আর এক কারণ, বঙ্গ-ভঙ্গের পরে আমাদেরই একজন বড়