পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R O বারীদের আত্মকাহিনী তিলকের গু খাও, গু খাও।” আমি তো অবাক! এ যে কুরুচির জোরে vulgarityতে মেছোহাটাকেও হার মানাইল । আজ তিনি ইংলণ্ড ও ভারতের রাজ-দরবারে খুবই উচ্চপদস্থ ও ডাকসাইটে মানুষ, নাম করিয়া তাহাকে অপদস্থ করিয়া আমার আর কি লাভ হইবে ? দলের খাতিরে মানুষ যে কতখানি অসংযত হয়, ইহা তাহারই একটু নমুনা । সে রাত্রে উত্তেজনার স্রোতে গরম পাড়া টলমল ; কাল আবার কংগ্রেসে কি হইবে তাহ কে বলিতে পারে ? এত দিন পর জাতীয় জীবনের ঘাটে-বাধা বজরায় মাঝ-দরিয়ার তুফানী ঢেউ BDBB DBBBBDSS DBBD DDD DDDD BBBD DDB BDD BDBDSDD তরঙ্গে ; পাল নাই, গুণ নাই, দাড় নাই, হাল নাই, আছে শুধু জোর বাতাস, পাগল ঢেউ আর কুলহীন পথ। শুধু অনিৰ্দেশ যাত্রারই আজি আনন্দ, বাধা ঘাটের আওতা ও আটকের মরণ কাটানোই আজ জীবন ; বিপুল অকুল জলরাশির কোন দিকে কুল আছেই, ঢেউ কাটাইয়া ভরা জোয়ারের এই টান, এই প্ৰমত্ত গতিই শরণা করিয়া চলিলেই কুল মিলিবেই মিলিবে, এই তখনকার গরম দলের মন । র্তাহাদের একটা লক্ষ্যও ছিল, কিন্তু দূরে—স্বপ্নপুরীর কোলে ; চোখের কাছে ছিল এত যুগের মোহের শৈবাল, মরণের পঙ্ক ও পুরাতািনর পাথর ; এইসব বাধা কাটাইয়া একবার স্রোতে পড়াই তখন কাজ, ধ্বংসই তখন মন্ত্র। সবারই কঁাধে দক্ষযজ্ঞনাশী পিনাকীর এক একটি দানা সওয়ার হইয়াছে, সবাই পুরাতনের কালাপাহাড়, নূতনের নেশাখের নবাস্বাদিত শক্তি-সুরার মাতাল। এইটি সে যুগের বিধাতার ইঙ্গিত, সে যুগে যে তাহা বুঝিয়াছিল, সে কাজ করিয়াছিল, যে বুঝে নাই সে বাধা দিয়া শক্তির ফুরণ চতুগুণ বৃদ্ধি করিয়া কংসের মরণ মরিয়াছিল । র্যাহারা গরম দলে থাকিয়া আসর গরম করিতেছিলেন, র্তাহারা অধিকাংশই বুঝেন নাই ব্যাপারটা কতদূরে গড়াইবে। তবে কেহ কেহ জানিতেন এবং অগ্নিকাণ্ডই চাহিতেন, তাহারা গোপন আগুনের ইন্ধনও জোগাইতেন। আর বাহিরের বঁাধনের পাথরও সরাই