পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

try বারীদ্রের আত্মকাহিনী আমি যোবার প্রথম মেদিনীপুর গুপ্ত-সমিতি পরিদর্শন করিতে যাই সেবারকার কথা আজও মনে আছে। দেখিলাম পাচ দশ BB DDuBBD BBD BDD DBBBB BDDS DDBD BDDB DDD ঘর। একটি ঘরে এক পাশে মাটির জিভ বার করা মা কালী ধূলা মাখিয়া দাড়াইয়া সন্তানদের কাণ্ড চক্ষু পাকাইয়া পাকাইয়া দেখিতেছেন। কবে কে জানে মা এই দুৰ্দান্ত সন্তানদের কাছে পূজা পাইয়াছিলেন, তাহার সিদূর, নৈবেদ্য শুষ্ক ফুল এখনও সামনে পড়িয়া আছে। তাহারই এ পাশে ছোড়া মাদুরে ময়লা বিছানায় দু’তিন জন ছেলে রাত্ৰে শোয়। ভিতর দিকে একটু ফাকা উঠানের মত, তাহাতে পাতকুয়া । ছেলেরা আপনি রাধে, বাড়ীর সব কাজ। আপনারাই করে ; চাকর-বাকর নাই। বিপ্লব কেন্দ্ৰে চাকর রাখিবে কাহাকে ? তাহাকে অবলম্বন করিয়া শনি ঢুকিতে কতক্ষণ ? এই সমিতির “আনন্দ মঠ” না। আমনি একটা রোমান্টিক নাম ছিল ; সত্যেন কাছেই নিজের বাসায় থাকিত, এখানে কাজে কৰ্ম্মে আসিত । সত্যেন ছিল খুব মেধাবী বুদ্ধিমান ছেলে, বই ও খবরের কাগজ পড়া ছিল তার একটা রোগের মধ্যে। যখন আমরা সাকুলার রোডে য-দার সহিত প্ৰথম কাজে নামি, তখন কিছু দিনের জন্য সত্যেনও সেখানে আসিয়া জুটিয়াছিল। শেষে আত্মকলহে কেন্দ্রটি ভাঙ্গিয়া যাওয়ায় মেদিনীপুরে চলিয়া যায়। আলিপুর জেলে এই অসমসাহসিক কাজ করিবার আগে কখনও কখনও সে বলিত, “রোগের জ্বালা আর সইতে পারি নে, কোন এক পাপিষ্ঠকে মেরে একদিন মরে বঁাচবো ।” কানাই আমাদের মধ্যে আসে আমরা চাপাতলার ‘যুগান্তর’ আফিসে থাকিতে ; কিন্তু তখন সে রুগ্ন, ম্যালেরিয়ায় বড় ভুগিতেছিল। তাই আমরা শরীর সুস্থ করিবার জন্য তাহাকে বায়ু-পরিবর্তনে পুরী পাঠাই। কানাই ছিল রোগ, ঢ্যাঙ, উজ্জল শ্যামবর্ণ, আয়ত bयू ७ ईौद्ध ।