পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দায়রা ও হাইকোর্টের কাজি ܠ ܘ ܠ abetter রাপে রাঙতার জুরি দুই জন ছিলেন, তাহারা নিজেদের নির্বিবষ রায়ারূপ ফাক আওয়াজটি প্ৰকাশ করিলেন ১৪ই এপ্রিল তারিখে ; গুরুদাস বসু মহাশয়ের রায়ে বারীন্দ্র, উল্লাসকর, ইন্দুভূষণ, উপেন্দ্র, পরেশ, বিভূতি, হেমচন্দ্ৰ ও হৃষীকেশ ছাড়া বাকি সকলেই নির্দোষ সাব্যস্ত হইয়াছিল, দ্বিতীয় বোগাস জুরি বা আসেন্সার বাবু কেদারনাথ চট্টোপাধ্যায়ও, পরেশ ছাড়া আর বাকি কয়জন সম্বন্ধে গুরুদাস বাবুর সহিত একমত ছিলেন। তবে তিনি শিশিরকেও অপরাধী করেন। ইহারা দু’জনেই ১২১ ধারা অর্থাৎ আমাদের তুল্য নিধিরাম সর্দারের দ্বারা সাহানসাহ বাদশাহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ সংঘটনরূপ কুক্রিয়া হইয়াছে বলিয়া মানেন নাই। চিত্তরঞ্জন তাহার বক্তৃতায় ১২১ ধারার প্রয়োগ প্ৰমাণাভাবে যে অসিদ্ধ, একথা নিঃসংশয়ে প্ৰমাণ করিয়া দিয়াছিলেন। বীচক্রফট কিন্তু, না চিত্তরঞ্জনের বাগিতায় ভিজিলেন, না আসেসারের দুৰ্ম্মতিতে টলিলেন, গোটা দুই বড়গোছের কাৎলাকে ‘জয় মা’ বলিয়া ঝুলাইতে না পারিলে, র্তাহার ন্যায়লোলুপ ব্রিটিশ-চিত্ত শান্তি মানিতেছিল না। • বীচক্রফটের অকুল বিশাল বিপুল রায় ১৯০৯ সালের ৬ই মে প্ৰকাশিত হইল। তাহাতে আমাদের ভাগ্য লইয়া যে কন্দুক ক্রীড়া করা হইয়াছিল তাহা এবস্থপ্রকার।-তিনি ন্যায়ের নিরীখা কষিয়া ১৯ জনকে দণ্ডভাগী করিলেন আর ১৭ জনকে রেহাই দিলেন ; র্যাহারা এই ন্যায়-ব্যাভ্রের কবল হইতে বঁচিয়া বাহির হইয়া গেলেন। তঁহাদের মধ্যে ছিলেন, অরবিন্দ, দেবব্রত, নিখিলেশ্বর, হেমেন্দ্ৰ, শচীন্দ্ৰ, নরেন্দ্ৰ বক্সী, নলিনী গুপ্ত, বিজয় নাগ, ধরণী গুপ্ত, নগেন্দ্ৰ গুপ্ত, পূর্ণ সেন, বীরেন্দ্ৰ ঘোষ, প্ৰভাস দে, দীনদয়াল, বিজয় ভট্টাচাৰ্য্য, কুঞ্জ সাহা ও হেম সেন। আর র্যাহারা ব্যান্ত্রের নখর দন্তে ঘায়েল হইলেন, তঁহাদের মধ্যে আমি বারীন্দ্র ও উল্লাস দা’ শ্ৰীদুৰ্গা বলিয়া বুলিয়া পড়িবার হুকুম পাইলাম। রায় পড়িবার সময় এইখানে বীচক্রফট কৌতুহলী হইয়া আমাদের দিকে চাহিয়া রহিলেন ; শ্বেতাঙ্গ কাজী বোধহয়