পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

८द्धत्र्त्डन्-टञ्थंज्ञ इन्दवञ्ञन्ति ওহ সে কি সুখ । বাহিরের খোলা হাওয়া, সবুজ গাছ, নীল আকাশ-হোক না বিচারালয়, হোক না মরণ-যাত্ৰা, চক্ষু ভরিয়া, নাসা ভারিয়া, এ আনন্দের পাগলা-বোরা তো আগে একবার পান করিয়া লই, তাহার পর মরিতে হয় মরিব । শুধু বুক ভরিয়া মুক্তির নিঃশ্বাস লওয়া, এই শব্দ-স্পৰ্শ-গন্ধ-রূপের জগতের একজন হইয়া প্ৰকৃতির ক্ৰোড়ে কেবল থাকিতে পাওয়াই মানুষের এত বড় সুখের ব্যাপার। তৃপ্তির অধিক করিয়া সহজ প্ৰাচুৰ্য্যে পাইয়া মানুষ এত সুখের লাভটা ধরিতে পারে না, এটা ওটা চাহিয়া মরে । ধরিতে পারে বুঝি, সহজে তুষ্ট শিশু আর শান্তরজঃ আগুকাম যোগী। একটা লম্বা বেথুন-কলেজী গাড়ীর মত গাড়ীতে বাক্সবন্দী হইয়া আমরা যাত্ৰা করিলাম, তাহার চারদিকে সার্জেণ্ট ও পুলিশ, মাঝখানে ঠাসাঠাসী ঘেসাঘে সী অসূৰ্য্যাম্পশ্য আমরা । ছেলেরা কলরব করিতে করিতে চলিল। বার্লির কোটে নামিয়া ঢুকিতে গিয়া জুতা বাহিরে রাখিয়া নগ্নপদে যাইতে হইল, বুঝিলাম মার্বেল পাথরেরও জুতাতঙ্করূপ জীবধৰ্ম্ম আছে। এতবড় দণ্ডধারী আইন-দেবতাও শেষে কিনা চৰ্ম্মপাদুকার ভয়ে তটস্থ। ভিতরে কাঠগড়ার নীচেই রেল-ঘেরা একটা লম্বা সঙ্কীর্ণ জায়গা, সেইখানে আমরা ন্যায়ের উপদেবতাটিকে সম্মুখে করিয়া কাতারবন্দী হইয়া দাড়াইলাম। আজ কোর্টে সামলার ভিড় লাগিয়াছে, দর্শকও মন্দ নয়, তবে ভিতরে সকলে ঢুকিতে পাইতেছে না । গল্পগুজবে মসগুল আমাদের গলার আওয়াজ এক