পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ro শিবনাথ শাস্ত্রীব আত্মচাবিত [ ১২শ পবিঃ গৃহিণীব মুখে শুনিতাম, এই সময় তিনি মামলা মোকদ্দমার কাগজপত্র দেখিলেই বলিতেন, “এগুলো যেন কালসাপ, দেখলেহ ভয় হয়। পেটের দায়ে ব্যারিষ্টাবি ক’বা ।” হাইকোর্টেব এটর্নিরা আমাকে বলি৩েন, “হায়রে। এমন শক্তি থেকে ও কাজে তেমন হলো না । বোস একবাব বলুন যে, তিনি স্পিলব হয়ে সহবে থাকবেন, আমবা র্তাব ফাষ্ট প্রাকটিস কবে দিচ্চি।” সুজি মহাশয় সে দিকে মন দিতেন না । তিনি মফঃসলে শিয়া কিছু অধিক উপাৰ্জন কবিয়া আনিয়া বসিতেন, যেন ব্রাহ্মসমাজেব কাজ কবিবাব সময় পান । এই তাব কার্য্যেব। বীতি ছিল । কতবাৰ ইচ্ছা কবিয়াছেন যে, অনন্যকর্ম্ম হইয়া দেশব হি১৩ সাধনে লাগেন, কেবল বৃহৎ পবিবাবেব পালন চিন্তা৩ে পাবিয়া উঠিােতন না। এমন অকৃলিম বিনয়, এমন বিমল ঈশ্বব্যপ্রীতি, এমন অকপট স্বদেশানুরাগ, এমন স্বজনগ্রেপ্রম, এমন কর্ত্তব্যনিষ্ঠা আমি মানুষে অল্পই দেখিয়াছি । বন্ড সৌভাগ্য, ভগবানের বড় কৃপা, যে, এমন মানুষকে বন্ধু রূপে পাইয়াছিলাম। সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ স্থাপিত হওয়াব পাব কয়েক মাস ইহার কার্য্যের ব্যবস্থা কবিতে গেল। প্রথম নিয়মাবলী প্রণয়ন, সকল সমাজে তাহার পাণ্ডুলিপি প্রেরণ, সকলেব মতসংগ্রহ ও তাহার বিচাব, একটী মুদ্রাযন্ত্র স্থাপন, সমাজেব পত্রিকা-পুস্তকাদির মুদ্রণ ও প্রচার, ইত্যাদি কার্য্যে আমাকে নিরস্তব ব্যস্ত থাকিতে হইল । সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের প্রথম প্রচারক দল -এইরূপে কয়েক মাস অতীত হইলে অবশেষে সমাজের কমিটি ব্রাহ্মধর্ম্ম প্রচার কার্য্যে মন দিবার সময় পাইলেন। চারি ব্যক্তিকে আপনাদের প্রধান প্রচারকরূপে মনোনীত কবিলেন। সে চাবি ব্যক্তি এই-( ১ম) পণ্ডিত: বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী, (২য়) পণ্ডিত রামকুমার বিদ্যারত্ন, (৩য়) বাবু গণেশচন্দ্র ঘোষ, (৪র্থ) আমি । ইহার মধ্যে পণ্ডিত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী সৰ্বসাধারণের নিকট