পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৮৮ ] কার্য্যবহুল জীবন ও কোলাহলবার্জনেব সমাবেশ 8RN) বাড়ীতে আছ, নিজের ঘরে বসিয়া লিখিতেছি ; রাস্ত হইতে সাড়া নাই, শব্দ নাই, কেবল মস মাস জুতার শব্দ শোনা যাইতেছে। কিন্তু একবাৰ ঘদি উঠিয়া জানালার কাছে দাড়াও, বোধ হইবে যেন রাস্তাতে টুপীর বঙ্গা আসিয়াছে, এত লোক যাইতেছে! দোকানে কাপড কিনিতে যাও, যেই দ্বারটাV\ঠেলিবে অমনি কোথা হইতে টং করিয়া একটী ঘণ্টা বাজিবে ; প্রবেশ বঁবিবামাত্র একজন লোক উপস্থিত । আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে আহা প্রয়োজন তাহাকে বল, অবিলম্বে তাহ পাইবে , দীর নাই, দস্তুর নাহ, পাচ মিনিটেব মধ্যে কাজ সমাধা । যেমন নিস্তব্ধ ভাবে কাজ কবিবার বীতি, তেমনি সময় বাঁচান। এই গুণেই ইংরাজগণ কাজ করিবার এত সময় পান। বলিতে কি, ছয় মাস ইংলেণ্ডে বাস করিয়া আমার চুপে চুপ কথা কক্ষর-এৰূপ অভ্যাস তইয়া গিয়াছিল যে, স্বদেশে ফিরিয়া বঙ্গদেশেব স্ববের মাত্রাতে উঠিতে অনেক দিন গেল। ঐ সময়ের মধ্যে র্যাহারা আমাব সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিতেন, তাহদের অনেকে জিজ্ঞাসা করিত্যুে আমার অসুখ করিয়াছে কি না, নতুবা এত চুপে চুপে কথা কহিতেছি কেন ? আমি ইংরাজ জাতির এই নিজািনবাস ও নিস্তািন্ধতার বিশেষ ইষ্টাফল দেখিয়াছি। প্রত্যেক ভদ্র ইংবাজের গৃহে একটি ঘর থাকে, যাহাকে Drawing Room বা বৈঠকখানা বলে। সে ঘরে কেহ শয়ন করে না, ৩াহা কেবল বন্ধু-বান্ধব অতিথি অভ্যাগতগণের সহিত সাক্ষাৎ ও আলাপ করিবার ঘর”। বাউীর লোকে সায়হ্নিক আহারের পর সেখানে বসিয়াই বিশ্রাম ও গল্পগাছা করেন , লোকে দেখা সাক্ষাৎ করিতে, আসিলে সেই ঘরেই দেখা সাক্ষাৎ হইয়া থাকে। কিন্তু গৃহস্বামীর যে একটি ঘর থাকে, সেখানে তিনি যখন বাস করেন, তখন সে-ঘৱে কেহ না। সে ঘরটিকে তাহার Study বা পাঠাগায় বলা হয়। তিনি সেখানে বসিয়া পাঠ ও চিন্তা করিয়া থাকেন। ইহাতেই ইংরাজগণ বড় বস্তু