পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V8 শিবনাথ শাস্ত্রীব আত্মচবিত [ ৩য় পরিঃ সহ হইল না। পাবদিন আমি তাহাব নামে কবিতা বাধিযা ক্লাসে উপস্থিত। একটাব ছুটীবা সময় সমস্ত ক্লাসেব ছেলেদিগকে ও তন্মধ্যে গঙ্গাধবকে দণ্ডায়মান কবিয়া, সেই কবিতা পাঠ কঠুৱা হইল। সমুদয় কবিতাটি আমাব মনে নাই । চাবি পংক্তি মাত্র স্মবাণ আছে। তাতা নিম্নে উদ্ধৃত কৰিতেছি • — ইজাব চাপিকান গাষ ইস্কুলে আসে যায নাম তাব গঙ্গাধব হাতী, বড তাব অহঙ্কাব, ধবা দেখে সবােকাব চলে যেন নবাবেব নাতী । কবিতা যখন পড হইল, তখন ছেলেদেব কবিতালিতে ও অট্টহাস্তে সমুদয় স্কুলেব ছেলে জড হইল। গঙ্গাধব অপমানে কাদিয়া ফেলিল ; এবং মাষ্টাব মহাশযেব নিকট নালিশ কবিল। কুমা বখালিব চাদমোহন মৈত্র মহাশয়েব জ্যেষ্ঠপুত্র বাধাগোবিন্দ মৈত্র তখন আমাদেব ইংবাজীব মাষ্টাব ছিলেন। তিনি কবিতাটা আমাব হাত হইতে লইষা মনোযোগ পূর্বক পাঠ কবিলেন ; এবং আমাব মস্তকে হাত দিয়া বলিলেন, “তোমাব কবিতা বেশ হযেছে, কিন্তু মানুষকে গালাগালি দিয়ে কবিতা লেখা ভাল নয়।” ইহাব পাব আমাব কবিতা লিখিবাব উৎসাহ বাড়িয়া Øiෙ1 ! বাল্যকালের কবিতাব খাত {-ফলতঃ, আমি যে কত ছোট বয়সে কবিতা লিখিতে আবন্ত কবিয়াছি, তাহা মনে নাই। বর্ণপবিচয় হইলেই মা আমাকে কৃত্তিবাসেব বামায়ণ পড়িষা শুনাইতে বলিতেন, অথবা নিজে মুখে মুখে আবৃত্তি কবিয়া । সেই- সকল কবিতা আমার কানে লাগিয়া ছিল। তৎপবোঁ কলিকাতাতে আসিয়া ঈশ্ববচন্দ্র গুপ্তের কবিতা কোনও প্রকাবে হাতে পাইলেই গিলিয়া ? খাইতাম । তৎপয়ে আমাব বাবা কবিতার বাসগ্রাহী মানুষ, তিনি বন্ধুদের সহিত ভারত