পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R R8 धेङिङ्ानिक खि । করিয়া বাঙ্গালার সুবেদারের নিকট হইতে তিন বৎসরের রাজস্ব চাহিয়া পাঠান। সরফরাজ কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইয়া জগৎশেঠ, রায়রায়ান ও হাজী আহম্মদের সহিত এ বিষয়ের পরামর্শে প্ৰবৃত্ত হন। পরে এইরূপ স্থির হইল যে, রাজস্ব প্ৰদান করাই কৰ্ত্তব্য । তদ্ব্যতীত নাদির শাহের নামে মুদ্রাঙ্কন ও উপাসনা মন্দিরে উপাসনাদির ও অনুষ্ঠান হয়। নাদির শাহ ভারতবর্ষ পরিত্যাগ করিলে সম্রাট মহম্মদ শাহ সরফরাজের ঐ সমস্ত ব্যবহার অবগত হইয়া যারপর নাই অসন্তুষ্ট হইলেন, ও তাহার সিংহাসনচ্যুতির ইচ্ছাও প্ৰকাশ করিলেন। এইরূপে চারিদিক হইতে সকলেই সরফরাজের প্রতি অসন্তুষ্ট হওয়ায় ক্ৰমে র্তাহার পতনের পথ বিস্তুত হইয়া উঠিল। আলমৰ্চাদ, জগৎশেঠ, হাজি আহম্মদ প্ৰভৃতি সকলের সহিত র্তাহার প্রকাশুিভাবে মনোবিবাদ ঘটিতে লাগিল, আমরা ক্ৰমে ক্রমে তাহা দেখাইতে চেষ্টা করিতেছি । রায়রায়ান আলমৰ্চাদ মন্ত্রিসভার একজন প্ৰধান সভ্য ছিলেন, রাজস্ব বিষয়ের সমস্ত ভারই তাহার হস্তে ন্যস্ত ছিল, সেই জন্য রাজ্যের আয়ব্যয় সম্বন্ধে তিনি সমস্ত জ্ঞাত থাকিতেন। রায়রায়ান যখন বুঝিতে পারিলেন যে, সরফরাজের বিলাসিত ও অমনোযোগিতার জন্য সরকারী অর্থের অপব্যয় হইতেছে, তখন তিনি নবাবকে সতর্ক করা আবশ্যক মনে করিলেন । নবাব সুজাউদ্দীন সর্বদাই আলমৰ্চাদের পরামর্শানুসারে। কাৰ্য্য করিতেন, রায়রায়ান অনেক সময়ে তাহাকে সৎপরামর্শ দান করিয়া রাজ্যের আয়বায় সম্বন্ধে তাহার দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেন । সেই জন্য সুজাউদ্দীন মুস্তহস্ত ও অমিতব্যয়ী হইয়াও কখন অর্থের একেবারে অপব্যয় ঘটাইতেন না, তিনি সরফরাজকে অযথা অর্থবায় হইতে হস্তসঙ্কোচ করার জন্য বারংবার উপদেশ দিতে লাগিলেন । সরফরাজ তাহার সমস্ত উপদেশ অমানা করিয়া পরিশেষে রায়রায়ানের যারপর নাই। অববাননা করেন । বৃদ্ধ আলমচাদ উদ্ধত নবাবের এই প্ৰকার অপমান সহ করিলেন বটে ; কিন্তু তঁহাকে পতন হইতে রক্ষা করিতে আর বিন্দুমাত্ৰ ইচ্ছা! করিলেন না, ক্রমে তাহার ব্যবহারে যারপর নাই বিরক্ত হইয়া তাহার প্রতিদ্বন্দ্বিগণের সহিত যোগদানের চেষ্টা করিতে লাগিলেন ।.