পাতা:অন্ধকারের আফ্রিকা.djvu/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অরণ্যে bبه س “কাঠের ঘর ব্যবহার করলে নাকি আগুনের ভয় আছে । আমরা হয় ত কাঠের ঘরে আগুন লাগিয়ে নিজেই পুড়ে মকুব । সেই জন্যই সরকারের এই দয়াপূর্ণ আদেশ।” আমি আর কিছুই বললাম না। নীয়বে শহরে ফিরে এসে একখানা ভারতীয় চায়ের দোকানে স্বাধীনভাবে চা খেতে লাগলাম আর ভাবতে লািগলাম কি করে পরিবর্তন এসে মানুষকে মানুষের অধিকার দেবে। একখানা চায়ের দোকান, কয়েকখানা মুদির দোকান আর কয়েকটি বড় বড় দোকান নিয়ে চুনিয়া শহরের গঠন। শহরের সীমানার মধ্যে বোন নিগ্রেী বাস করতে পারে না । শহরের বাইরে কতকগুলি বুম্বর বা করে, তারাই হল স্বর্ণখনির মালিক । তারা শহরে তুম্বাসে, তাদের দুৱষ্কারী জিনিস কেনার জন্য । এই কয়খানা বড় বড় দোকান তাদের দরকারী জিনিস সরবরাহ করার জন্যই করা হয়েছে। আমি ভেবে পেলাম না, এই ত কয়টি মাত্র বুয়াির, তাদের জিনিস সরবরাহ করার জন্য তিন মস্ত বড় দোকান রয়েছে। এরা এত মান্স কিনে কি কয়ে ? পরে একদিন তাদের পাড়াতে গিয়েছিলাম। তারা আমায় তাদের বাড়িতে যেতে বলেনি, আমি নিজেই গিয়েছিলাম। গণহাড়ের গায়ে কয়েকখানা বাংলো ধরণের বাড়ী।। এক বাড়ী হতে অন্য বাড়ী যাবার বেশ সুন্দর পথ রয়েছে। পথের দুপাশে সবুজ পদ্মের বাগান করা হয়েছে। সবুজ পদ্ম বড়ই মূল্যবান। সিসেন্স জাতীয় উদ্ভিদ। অথচ তােৱই যাগান। এটা কি কম কথা! উদ্ভিদটি দেখতে একেবারে পদ্মেরই মত । এই উদ্ভিদ "দিয়ে পথ ঘাট সাজিয়ে স্বাধ-সকলের পক্ষে সম্ভব হয় না। রোজই তাতে দুবেল জ্বল দিতে হয়। তারপর পদ্মের নীচটা খুড়ে তাতে বেশ করে সার দিতে হয়। তবে কবার মুদি পদ্ম মাটিতে কামড়ে ধরতে পারে। তবে অনেক দিন বঁাচে ।