পাতা:আদায়ের ইতিহাস - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইতিহাস C)N9 %डाभांद्र 9िांका ।' ‘সুন্দ কই ? ত্রিষ্টপ হাসিবার চেষ্টা করিল। এদের বিকৃত অভিমানের পরিচয় তো সে জানে, কিছু জিজ্ঞাসা করিতে ভরসা। ०tांछेल ना । নোটের তাড়াগুলি আঁচলে বাধিতে বঁাধিতে প্রভা নিজেই বলিল, “চিরকাল কারো সমান যায় না। দু’দিন অবস্থা একটু খারাপ হলে কি রকম যে করে সবাই ! সৰ্বস্ব কেড়ে নিয়ে যেন ফতুর করে দিল।” প্রভার চোখ জলে ভরিয়া যায়, ‘মনে থাকবে সব, কত লাথি, কাটা, অপমান জুটেছে। এতদিন চুপ করে সব সয়েছি, আর তো চুপ করে থাকিব না ।” লাথি, কাটা, অপমান। চুপচাপ সব সহ করা। হাসিবে না। কঁাদিবে, ত্রিষ্টুপ বুঝিতে পারিল না। সারাদিন প্রভা সকলের সঙ্গে ঝগড়া করিল। বাপ-মাকে কঁাদাইল এবং নিজেও কঁাদিল । সকলকে সে আঘাত করিতে চায় না, প্রমাণ করিতে চায় যে, এতদিন সকলের কাছে তার শুধু অনাদর আর অপমানই জুটিয়াছে। রমেশের চাকরী থাকিলে বাপের বাড়ীতে দিন কাটানোর সময়ে সকলের যে কথা ও ব্যবহার তার কাছে সহজ ও স্বাভাবিক ঠেকিত, রমেশের চাকরী ছিল না বলিয়াই সেই কথা ও ব্যবহারের মধ্যেই এতকাল কিছু আবিষ্কার করিয়া সে অভিমান করিয়াছে। নিজের এই বিকারকে সে সমর্থনা করিতে চায়। সেই চেষ্টায় একেবারে হুলস্থূল কাণ্ড বাধাইয়া দিয়া সে রমেশের সঙ্গে চলিয়া গেল । রওনা হওয়ার আগে রমেশ অবিনাশকে বলিল, “আপনার খুব টাকার টানাটানি চলছে শুনছিলাম ? অবিনাশ বলিলেন, “কই না ? চলে যাচ্ছে এক রকম। তিক্টর চাকরীটি হয়ে-’ ‘আমি কিছু টাকা দিলে কি আপনার অপমান হবে ? আমি তো আপনার ছেলের মত ।” V