পাতা:আদায়ের ইতিহাস - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইতিহাস woS রমেশের বেকার অবস্থার জন্য ত্রিষ্টুপের বিশেষ সহানুভূতি ছিল না। নিজে সে হাতে পাওয়া চাকরী ছাড়িয়া দেওয়ার কথা ভাবে, সে বিশ্বাস করিত না যে চেষ্টা করিলে কোন মানুষের পক্ষে দিন চলার মত সামান্য উপার্জন করা অসম্ভব । রমেশের অবস্থার জন্য রমেশকেই যে দায়ী করিয়া রাখিয়াছে। তবু প্রভার স্বামী টাকা যখন চাহিয়াছে, না দিলে চলিবে না । বিরক্তিতে মন ভরিয়া অবিনাশের কাছে টাকা চাহিতে গেল । অবিনাশ বলিলেন, “কুড়ি টাকা ? কি করাবি কুড়ি টাকা দিয়ে ?” ত্রিষ্টুপ বলিল, “দরকার আছে।” মা বললেন, “অত খরচে হসনে তিষ্ট।’ অবিনাশ বলিলেন, “দরকার আছে জানি । কি দরকার আছে ९७नि न ? ত্রিষ্টপ বলিল, “কি দরকার না জানলে টাকা দেবে না ?” অবিনাশের মুখ গম্ভীর হইয়া গেল। আহত বিস্ময়ে তিনি ছেলের মুখের দিকে চাহিয়া রহিলেন। মার হাতের কাজ বন্ধ হইয়া গেল । “টাকা দেব না বলিনি তো, তিষ্ট। টাকা দিয়ে কি করবি ভাই শুধু জিজ্ঞাসা করছিলাম।” ত্রিষ্ট্রপও তা জানে। অবিনাশের শুধু জিজ্ঞাসা, আর কিছু নয়। কুড়ি টাকার বদলে কুড়ি পয়সা চাহিলেও, অবিনাশ এমনি ভাবে জানিতে চাহিতেন। পয়সাটা কি কাজে লাগিবে। বাড়ীর বাহিরে যাইতে দেখিলে যেমন জিজ্ঞাসা করেন সে কোথায় যাইতেছে, এও তেমনি জিজ্ঞাসা । তার সম্বন্ধে আজ পর্যন্ত ছোট-বড় সব খবরই ওঁরা রাখিয়াছেন ; প্রকাশ করিয়া বলিতে পারে না। এমন কিছু তার জীবনে উপস্থিত হইয়াছে, এ ধারণাই ওদের নাই। ব্যাপারটা পরিষ্কার করিয়া