পাতা:আদায়ের ইতিহাস - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RV VfB দিন সাতেক পরে ত্রিষ্টুপ আপিস হইতে বাড়ী ফিরিতেছিল, সেই চায়ের দোকান হইতে মণীশ তাকে ডাকিল । দোকানে এখন ভিড় জমিয়াছে, একটি চেয়ারও খালি ছিল না। দোকানের DDBDBD BDBB DBBBL BBD DDDS DBD 0BBDS DD ছোট একটু ফাকের মধ্যে গুজিয়া দিল। “একজন আজ একশ টাকা ঠকিয়েছে, তিষ্ট।” ‘কে ? “তুমি চিনবে না। পাল চৌধুরী কোম্পানীর পালবাবু।” “চিনি। একবার চাকরীর খোজে দেখা করেছিলাম।” *ওর একশ লাখ টাকা আছে। আমার একশটা টাকা কি করে আদায় করা যায় বসে বসে ভাবছিলাম।” ব্যাপারটা আগাগোড়া শুনিয়া ত্রিষ্টুপ বলিল, “ও টাকার আশা ছেড়ে দিন। ভেবে আর কি করবেন ?” মণীশ মৃদু হাসিল ৷-“ভেবে আর কি করব, টাকা আদায় করব ।” টাকার জন্য মণীশকে একটু বিচলিত মনে হয় না। পালবাবু টাকাটা না দেওয়ায় সে যেন খুন্সী হইয়াছে—আদায়ের জন্য লড়াই করিতে পরিবে। মণীশের প্রকৃতির এই দুর্বল দিকটা ত্রিষ্টুপ ঠিক বুঝিয়া উঠিতে পারে না। পাওনা আদায়ের জন্য লড়াই করিতে সে যদি ভালবাসে, সামান্য কয়েকটা টাকার জন্য একজনের সঙ্গে শুধু লড়াই না করিয়া অনেক টাকার জন্য অনেকের সঙ্গে লড়াই করে না। কেন ? সে কি মনে করে সে যা পায়, তার বেশী আর কিছু তার পাওনা নাই ? উপার্জন বাড়ানোর জন্য সে তার অসাধারণ শক্তিগুলি কাজে লাগাইতে অবহেলা করে ; কিন্তু কেউ একটী পয়সা ফাকি দিলে নির্মম ধৈর্যের সঙ্গে সেই পয়সাটী ছিনাইয়া আনিবার জন্য প্রায় সাধনা সুরু করিয়া দেয়। * - ‘কদিন যাওনি কেন, তিষ্ট ?