পাতা:আদায়ের ইতিহাস - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইতিহাস SV) পদ্মলোচন তাড়াতাড়ি কপালে হাত ঠেকাইয়া বলিলেন, “তা বেশ, তা বেশী।” ত্রিষ্টুপ অবাক হইয়া দু’জনকে দেখিতে থাকে। একজন অনায়াসে মিথ্যাকথাটা বলিয়া ফেলিল; পুজো দিতে গিয়া আপিস পৌছিতে দেরী করার জন্য বিরক্ত হইলে পাছে অপরাধ হয়, এই ভয়ে আর একজনের বিরক্তি সঙ্গে সঙ্গে উপিয়া গেল। দু’জন সমবয়সী। নিরীহ গোবেচারী মানুষ, জীবনটাও হয়তো দু’জনের একই ছাচে ঢালা-পরীক্ষা পাস, চাকরী ও সংসার-কিন্তু একজন মন্দিরের নামে মিথ্যা বলিতে ভয় পায় না, আর একজন মন্দিরের নাম শুনিলেই छgकांछेशा शांश। আপিস ত্রিষ্টগুপের BBBTD DDS SDBB DDD DBD DBBD পড়িলে বাপের সঙ্গে দেখা করিতে আসিয়াছে ; চাকরী হওয়ার সময়ে বিনা দরকারেই ঘনঘন অনেক বার আসিয়াছে। অনেকের সঙ্গেই তার চেনা ছিল, অবিনাশ আরও কয়েক জনের সঙ্গে আলাপ করাইয়া দিলেন-প্রত্যেকের ভদ্রতা ও শুভ কামনার জবাকে সবিনয়ে বলিতে লাগিলেন, “আপনার দয়া ।” বাড়ী ফিরিবার সময়ে ট্রামে ও ট্রেনে অবিনাশ ছেলেকে অনেক রকম উপদেশ দিলেন, আপিসে কোন লোকটা ভাল আর কোন লোকটা বজাত মুখে মুখেই তার লম্বা তালিকা শুনাইয়া দিলেন ; কার সঙ্গে কি রকম ব্যবহার করিতে হইবে তাও বুঝাইয়া দিলেন ।

  • -আস্তে আস্তে ডিপ্লোমেসী শিখতে হবে, নইলে উন্নতির কোন আশা নেই বাপু ! দেরী করার জন্য পদ্মলোচন চটে ছিল, দেখলি তো কেমন সামলে নিলাম ?”—অবিনাশ সগৰ্বে ছেলের মুখের দিকে - তাকালেন—“অন্য কেউ হলে কেঁউ কেঁউ করত, ব্যাটা আরও চটে যেত, আমি তো জানি কত ধানে কত চাল, এমন কৈফিয়ৎ দিলাম যে আর টু শব্দটি করতে পারল না -একটু থামিয়া,